অযোধ্যা, 18 জানুয়ারি: আর কয়েকটা দিন বাকি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের ৷ বেশ কিছুদিন আগে বোমা মেরে রাম মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোনে নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হল অযোধ্যাকে ৷ তাই অযোধ্যার লতা মঙ্গেশকর চকে প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে ৷ গতকাল কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে হনুমানগড়ি হয়ে অস্থায়ী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় 'রামলালা'র মূর্তি। 22 এবং 26 জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মইনপুরী শহরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড কমান্ডোদের অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিতরের চারিদিকে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এআই প্রযুক্তির পাশাপাশি 10 হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ অযোধ্যা শহরকে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও, মন্দিরের 4.5 কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে একটি নিরাপত্তা গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে যে কোনও সন্দেহজনক বস্তুকে আটকানোর জন্য। 22 জানুায়রি কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না-ঘটে তার জন্য গঠন হয়েছে বিশেষ গোয়েন্দা সেল। ইউপি-নেপাল সীমানা বরাবর এলাকাগুলোতে টহলদারি জোরদার করা হয়েছে ৷ কারণ এই জায়গায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা চলতে থাকে ৷
ড্রোনে নজরদারি চলার পাশাপাশি কঠোর নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র ইউপি এটিএস কমান্ডো এবং 10 হাজারেরও বেশি ইউপি পুলিশকর্মীকে অযোধ্যাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। ইউপি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক অস্ত্র ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য 100 জনেরও বেশি ডেপুটি এসপি, 325 ইন্সপেক্টর এবং 800 সাব ইন্সপেক্টরকে অযোধ্যায় মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়াও, শহরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর 10 হাজার কর্মী মোতায়েন করা হবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ৷
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র, বুধবার রাতে এক্সে একটি পোস্ট কেরছেন ৷ তাতে লেখা, "গতকাল ভগবান শ্রী রাম লালার মূর্তির শোভাযাত্রা উৎসাহের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে এবং মণ্ডপে রামায়ণের পাঠ শুরু হয়েছে। 'প্রাণ প্রতিষ্টা' অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে অযোধ্যাকে নিখুঁত নিরাপত্তা চাদর দিয়ে সুরক্ষিত করা হবে।"
উল্লেখ্য, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই মন্দির বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির পাশাপাশি একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও এসটিএফের এডিজি অমিতাভ যশ ও দেবেন্দ্র তিওয়ারিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তদন্তে নেমে লখনউয়ের গোমতী নগর থেকে দুই অভিযুক্ত তাহের সিং এবং ওমপ্রকাশ মিশ্রাকে গ্রেউফাতর করেছে এসটিএফ।
আরও পড়ুন: