বান্দা (উত্তরপ্রদেশ), 20 এপ্রিল: আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদকে খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট লাভলেশ তিওয়ারির তিন সহযোগীকে আটক করেছে ৷ আতিক ও আশরাফের উপর যে তিনজন গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ, তাদেরই একজন এই লাভলেশ ৷
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আটক হওয়া তিনজনের থেকে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল লাভলেশরা ৷ কীভাবে ভিডিয়ো জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করতে হয়, লাভলেশদের মূলত সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ৷ তাছাড়া ভিডিয়ো ক্যামেরা ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত ডিভাইস কিনতেও এরা সাহায্য করেছিল আতিক ও আশরাফের আততায়ীদের ৷ বান্দা রেল স্টেশন থেকে ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ ৷ এই ঘটনার তদন্তে সিটের আধিকারিকরা হামিরপুর ও কাসগঞ্জে গিয়েছেন ৷ সেখান থেকে আরও তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে ৷
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করে খুন করা হয় গ্য়াংস্টার আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদকে ৷ সেই সময় সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল সেখানে ৷ ফলে খুনের ভিডিয়ো রেকর্ডিং হয়ে যায় ৷ যে তিনজনকে গুলি চালাতে দেখা যায়, তারা সাংবাদিকের ছদ্মবেশেই এসেছিল ৷ পরে অরুণ মৌর্য, সানি সিং ও লাভলেশ তিওয়ারি নামে ওই তিনজন আত্মসমর্পণ করেন ৷ বুধবার ধৃতদের চারদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷
এর আগে গত 16 এপ্রিল প্রয়াগরাজ জেলা আদালত তাদের 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল ওই তিনজনকে । পরে ওই তিন অভিযুক্তকে জেরার জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিট ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই ওই তিনজনকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷ সিট ওই তিনজনকে জেরা করে এই ঘটনায় আরও তথ্য পেতে চায় ৷ যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা কোথা থেকে এসেছিল ? কীভাবে তারা এই অস্ত্র পেয়েছিল, সেটাও জানতে চায় পুলিশ ।
এদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না নিহত আতিকের স্ত্রী শায়েস্তা পারভিনকে ৷ বুধবার তাঁর সন্ধানে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ওই রাজ্যের কৌশাম্বির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় শায়েস্তা পারভিন লুকিয়ে আছে বলে তাদের কাছে খবর ছিল ৷ সেই কারণে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ৷ প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান ৷ ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয় ৷ তার পরও পারভিনের খোঁজ পায়নি উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: আতিক খুনের ঘটনায় সাসপেন্ড এক আধিকারিক-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী