কাজিরাঙা, 28 জানুয়ারি: পর্যটকদের জন্য খুলছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ৷ শুক্রবার এই বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ ৷ তাতে তাঁরা জানিয়েছেন, 4 ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকরা অসমের এই জাতীয় উদ্যানে ঢুকতে পারবেন ৷ কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের ইস্টার্ন অসম ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বা ডিএফও এই নোটিশ জারি করেছেন (Kaziranga National Park to open for tourists) ৷
তবে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে 1 ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল রেঞ্জের অধীনে জিপ সাফারি এবং ওয়েস্টার্ন রেঞ্জ, বাগোরি সাফারি পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকছে, ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ ৷ নোটিশে বলা হয়েছে, "18 জানুয়ারি, 2023 তারিখে জারি করা নোটিফিকেশনে উদ্যান বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল ৷ তা বাতিল করা হচ্ছে ৷ 4 ফেব্রুয়ারি 2023 তারিখে উদ্যান পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ৷" আরও জানানো হয়, 1 ফেব্রুয়ারি ব্যবস্থাপনা জনিত অসুবিধের জন্য কাজিরাঙার সেন্ট্রাল রেঞ্জে এবং ওয়েস্টার্ন রেঞ্জে বাগোরিতে পর্যটকদের জন্য জিপ সাফারি বন্ধ থাকছে ৷ তবে বুরাপাহাড়, আগোরাতোলি রেঞ্জ, এলিফ্যান্ট সাফারিতে জিপ সাফারি যেমন খোলা আছে তেমনটাই থাকবে ৷ তবে এলিফ্যান্ট সাফারিতে আনন্দ নিতে পারবেন পর্যটকেরা ৷
আরও পড়ুন: বেঙ্গল সাফারিতে চরম গাফিলতির জের ! 2 মাসে মৃত 27 হরিণ, পদক্ষেপের আশ্বাস বনমন্ত্রীর
অসমের গোলাঘাট এবং নগাঁও জেলার মধ্যে অবস্থিত এই কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ৷ বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ একশৃঙ্গ গন্ডার দেখতে পাওয়া যায় এখানে ৷ মূলত তার জন্যই বিখ্যাত অসমের এই 118 বছরের পুরনো উদ্যান ৷ 1905 সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন এর প্রতিষ্ঠা করেন ৷ ভারত স্বাধীন হওয়ার পর 1974 সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান বলে ঘোষণা করা হয় ৷ 1985 সালে ইউনেসকো এই উদ্যানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ প্লেস-এর অন্তর্ভুক্ত করে ৷ এর মধ্যে দিয়ে ব্রহ্মপুত্র-সহ চারটি নদী বয়ে গিয়েছে ৷ এখানে আড়াই হাজারেরও বেশি ৷ 2006 সালে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ককে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ স্থান (Tiger Reserve) হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৷ গন্ডার ছাড়াও এখানে প্রচুর হাতি থেকে শুরু করে হরিণ, বহু পাখির আবাসস্থল ৷