গুয়াহাটি, 27 ডিসেম্বর: ফের বিতর্কে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷ সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তাঁর একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ৷ তাঁর পোস্টকে বর্ণভেদের রাজনীতির উদাহরণ বলে কটাক্ষ করেছে সিপিএম ৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমদ্ভগবদগীতার একটি শ্লোক উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেছেন ৷ সেই পোস্টের জন্য তাঁকে নিন্দা করেছে বামপন্থী দলগুলি ৷
হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রতিদিন নিজের ফেসবুকে শ্রীমদ্ভগবদগীতার একটি করে উদ্ধৃতি শেয়ার করেন ৷ মঙ্গলবারও গীতার একটি শ্লোক তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন ৷ এদিনের গীতার শ্লোক নির্দেশ করে এমন পোস্টে লেখা আছে "কৃষি, গরু পালন, বাণিজ্য - এগুলি বৈশ্যদের স্বাভাবিক কাজ ৷ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য এই তিনটি বর্ণের সেবা করা শূদ্রের স্বাভাবিক কাজ ৷" এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৷
এই পোস্টের জন্য সিপিএমের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন হিমন্ত। সোশাল মিডিয়ায় দলের অফিসয়াল পেজে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে সিপিএম লিখেছে, "মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আধুনিক সভ্যতার গণতান্ত্রিক এবং মানবিক সমস্ত মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে সমাজকে বিভক্ত করতে ব্যস্ত ৷ তিনি শুধু ঘৃণার বীজ বপন করেননি, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে এখন তিনি ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রবক্তা হয়ে আধুনিক ভারতে চতুষ্কোণ বর্ণপ্রথা প্রবর্তনের জন্য উন্মাদ হয়ে উঠেছেন ৷ ক্ষমতা ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুধার্ত বলেই হিন্দুত্ব থেকে শুরু করে গীতার শ্লোক উদ্ধৃত করে শূদ্রদের ব্রাহ্মণদের সেবায় নিয়োজিত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ।"
আরও লেখা হয়েছে, "বর্ণবাদী ব্যবস্থার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আনুগত্যের নিন্দা করার ভাষা নেই । এটা বিজেপি শাসনে সমাজকে অতীতের দিকে টেনে আনার একটা জঘন্য প্রয়াস মাত্র ! তাঁর মন্তব্যের সহজ অর্থ হল রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষকে তুচ্ছ করা । তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং আধুনিক সভ্যতা ও সমাজে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া । এটাই বিজেপি-আরএসএসের রাজনৈতিক দর্শন । এটাকে প্রতিহত করা দরকার । আগামিদিনে এই মুখ্যমন্ত্রী সতীদাহ প্রথারও পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন !"
আরও পড়ুন :
1 বিবেকানন্দের বাণী নিয়ে সুকান্তের বিতর্কিত মন্তব্যে, প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল
2 'কোথায় রবীন্দ্রনাথ, আর কোথায় রামছাগল '! অভিষেককে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সুকান্তর
3 বিবেকানন্দের আধুনিক রূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর