নয়াদিল্লি, 21 সেপ্টেম্বর: কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে (Congress president polls) তিনি লড়তে পারেন ৷ এই ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত (Gehlot Meets Sonia)৷ তাঁর আর সোনিয়ার মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনই ছিল বলে সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে ৷
সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে তাঁর 10 জনপথের বাড়িতে দেখা করেন অশোক গেহলত (Gehlot vs Tharoor in Congress president polls)৷ আজই দিনের শেষে তিনি মুম্বই উড়ে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ দলের সর্বময় কর্তা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে রাহুল গান্ধিকে রাজি করানোর চেষ্টায় বৃহস্পতিবার তিনি কোচিতে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ জয়পুর থেকে নয়াদিল্লিতে অবতরণের পরই গেহলত স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে থাকছেন ৷ বলেছিলেন, দল চাইলে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন এবং যে কোনও দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হলে তা তিনি মাথায় তুলে নেবেন ৷ তবে ওই পদে বসার জন্য তিনি রাহুল গান্ধিকে শেষবার রাজি করানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী (Gehlot vs Tharoor)৷
তাঁর কথায় কংগ্রেস যাতে শক্তিশালী হয়, এমন সিদ্ধান্তই তিনি নেবেন ৷ গেহলত বলেন, "দল ও হাইকম্যান্ড আমাকে সবকিছু দিয়েছে ৷ 40-50 বছর ধরে আমি নানা পদে রয়েছি ৷ আমার জন্য কোনও পদই গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাই আমি পালন করব ৷"
আরও পড়ুন: 22 বছর পর ফের কি কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনী লড়াই দেখা যাবে !
এ দিকে, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে থাকা অপর দাবিদার সাংসদ শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে গেহলতের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে ৷ প্রায় পাঁচ দশক ধরে দলে রয়েছেন গেহলত ৷ সংগঠন ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর বিরাট অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷ গান্ধি ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত এই নেতা জননেতা হিসেবে পরিচিত ৷ উলটো দিকে থারুর কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন 2009 সালে ৷ তিনি জননেতা নন ৷ সংগঠন ও নির্বাচন সামলানোর কোনও অভিজ্ঞতা তাঁর নেই ৷ আর তিনি গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত নন ৷ গান্ধি পরিবারের সমর্থন নিয়ে লড়াইয়ে নামবেন গেহলত, যেখানে শশী নিজেই এই দৌড়ে লড়াইয়ে নেমেছেন ৷