ETV Bharat / bharat

Kejriwal on Gujarat HC Order: মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আদালতের রায়ে স্তম্ভিত দেশের মানুষ, অভিযোগ কেজরিওয়ালের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি দেখানো নিয়ে তথ্য় কমিশনের নির্দেশ শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট ৷ এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 25 হাজার টাকা জরিমানাও করে আদালত ৷ এই নিয়ে শনিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেজরিওয়াল ৷

Kejriwal on Gujarat HC Order
Kejriwal on Gujarat HC Order
author img

By

Published : Apr 1, 2023, 4:05 PM IST

নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: গুজরাত হাইকোর্টের রায়ের পর তাঁরা অবাক হয়ে গিয়েছেন, যাঁদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানার অধিকার রয়েছে, শনিবার এমনই দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ এদিন নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল ৷ সেখানেই তিনি এই কথা বলেন ৷

প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন ৷ সেই আবেদনের প্রক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দেশ দেয় ৷ সেখানে জানানো হয় যে কেজরিওয়ালকে যেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয় ৷ তথ্য কমিশনের তরফে দেওয়া সাত বছর আগের সেই নির্দেশ গতকাল শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট ৷

তথ্য কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ সেই আবেদনের পক্ষেই শুক্রবার রায় দিয়েছে আদালত ৷ একই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে 25 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ৷ কেজরিওয়ালকে আদালতের নির্দেশ, ওই টাকা চার সপ্তাহের মধ্যে গুজরাতের লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে ৷

শনিবার এই নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘হাইকোর্টের আদেশে গোটা দেশ স্তম্ভিত ৷ কারণ, গণতন্ত্রে তথ্য খোঁজার ও প্রশ্ন করার স্বাধীনতা থাকা উচিত । হাইকোর্টের আদেশে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিয়ে সংশয় আরও বেড়েছে ৷’’ একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি বৈধ হয়, তাহলে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় কেন বিষয়টি লুকিয়ে যাচ্ছে ৷ কেজরিওয়ালের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় বা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে থাকেন, তাহলে এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য লুকিয়ে রাখার বদলে গর্ব করে বলা উচিত ৷

কেজরিওয়ালের আরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তথ্য লুকিয়ে রাখার পিছনে দু’টো কারণ হতে পারে ৷ এক, মোদির অহঙ্কারের জন্য গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় তা দেখাতে ভয় পাচ্ছে ৷ অথবা মোদির ডিগ্রিই ভুয়ো ৷ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কেজরিওয়াল জানান, পড়াশোনা শিখতে না পারা কোনও অপরাধ নয় ৷ দারিদ্রের কারণে অনেকেই পড়তে পারেন না ৷ স্বাধীনতার 75 বছর পরও দারিদ্রতার সেই পরিস্থিতি বদলায়নি ৷

তার পর তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীকে দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় ৷ তার মধ্য়ে বিজ্ঞান ও অর্থনীতির বিষয় রয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত না হলে অনেক আধিকারিক, অনেক প্রতিনিধি এসে অনেক জায়গায় সই করিয়ে নিতে পারেন ৷ নোটবন্দির মতো দেশে খারাপ প্রভাব ফেলা ঘটনাও ঘটতে পারে ৷ সবশেষে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি শিক্ষিত হলে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতেন না ৷’’

আরও পড়ুন: মোদির ডিগ্রি চেয়ে বিপাকে কেজরি, আদালত জরিমানা করতেই আসরে বিজেপি

নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: গুজরাত হাইকোর্টের রায়ের পর তাঁরা অবাক হয়ে গিয়েছেন, যাঁদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানার অধিকার রয়েছে, শনিবার এমনই দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ এদিন নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল ৷ সেখানেই তিনি এই কথা বলেন ৷

প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন ৷ সেই আবেদনের প্রক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দেশ দেয় ৷ সেখানে জানানো হয় যে কেজরিওয়ালকে যেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয় ৷ তথ্য কমিশনের তরফে দেওয়া সাত বছর আগের সেই নির্দেশ গতকাল শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট ৷

তথ্য কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ সেই আবেদনের পক্ষেই শুক্রবার রায় দিয়েছে আদালত ৷ একই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে 25 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ৷ কেজরিওয়ালকে আদালতের নির্দেশ, ওই টাকা চার সপ্তাহের মধ্যে গুজরাতের লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে ৷

শনিবার এই নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘হাইকোর্টের আদেশে গোটা দেশ স্তম্ভিত ৷ কারণ, গণতন্ত্রে তথ্য খোঁজার ও প্রশ্ন করার স্বাধীনতা থাকা উচিত । হাইকোর্টের আদেশে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিয়ে সংশয় আরও বেড়েছে ৷’’ একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি বৈধ হয়, তাহলে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় কেন বিষয়টি লুকিয়ে যাচ্ছে ৷ কেজরিওয়ালের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় বা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে থাকেন, তাহলে এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য লুকিয়ে রাখার বদলে গর্ব করে বলা উচিত ৷

কেজরিওয়ালের আরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তথ্য লুকিয়ে রাখার পিছনে দু’টো কারণ হতে পারে ৷ এক, মোদির অহঙ্কারের জন্য গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় তা দেখাতে ভয় পাচ্ছে ৷ অথবা মোদির ডিগ্রিই ভুয়ো ৷ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কেজরিওয়াল জানান, পড়াশোনা শিখতে না পারা কোনও অপরাধ নয় ৷ দারিদ্রের কারণে অনেকেই পড়তে পারেন না ৷ স্বাধীনতার 75 বছর পরও দারিদ্রতার সেই পরিস্থিতি বদলায়নি ৷

তার পর তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীকে দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় ৷ তার মধ্য়ে বিজ্ঞান ও অর্থনীতির বিষয় রয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত না হলে অনেক আধিকারিক, অনেক প্রতিনিধি এসে অনেক জায়গায় সই করিয়ে নিতে পারেন ৷ নোটবন্দির মতো দেশে খারাপ প্রভাব ফেলা ঘটনাও ঘটতে পারে ৷ সবশেষে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি শিক্ষিত হলে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতেন না ৷’’

আরও পড়ুন: মোদির ডিগ্রি চেয়ে বিপাকে কেজরি, আদালত জরিমানা করতেই আসরে বিজেপি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.