দার্জিলিং, 2 মে: অপারেশন স্বস্তিকের মাধ্যমে তুষারঝড়ে আটকে পড়া 40 জন পর্যটককে উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এই নিয়ে চলতি বছরে পঞ্চমবার তুষারঝড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার করল সেনা এবং বিআরও। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় 2 হাজার পর্যটকের প্রাণ বেঁচেছে সেনা ও বিআরও-র তৎপরতায়।
ভারতীয় সেনা ও বিআরও সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে সিকিমের নাথুলা পাসে আচমকা তুষারঝড় শুরু হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন 40 জন দেশ-বিদেশের পর্যটক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও প্রবীণও ছিল। সিকিম পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে খবর দেওয়া হয় সেনায়। খবর পাওয়া মাত্র ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কর্পস ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন অভিযানে নামে। যে অভিযানের নাম 'স্বস্তিক'। তারা পৌঁছে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
সেখানেই পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের গরম খাবার ও জামা-কাপড় সরবরাহ করা হয়। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের নিরাপদে গ্যাংটকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এই বিষয়ে কর্নেল অঞ্জন কুমার বাসুমাতারি বলেন, "বিকেল নাগাদ খবর আসা মাত্র বিআরও'র সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযানে নামা হয়। প্রত্যেক পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভারতীয় সেনা এই ধরনের অভিযানের জন্য সবসময় প্রস্তুত।"
আরও পড়ুন: গুলমার্গে তুষার ধস, মৃত 2 বিদেশি পর্যটক
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে সিকিমে চারটি অভিযানে তুষারঝড়ে আটকে পড়া প্রায় 2 হাজার পর্যটকদের উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'অপারেশন হিমরাহত'। সেই অভিযানে একসঙ্গে 500টি গাড়িতে আটকে থাকা হাজারেরও বেশি পর্যটকদের উদ্ধার করেছিল সেনা ও বিআরও। উল্লেখ্য, সেরাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার কোনও বদল হবে না সেখানে। চলবে তুষারঝড়। তবে গাড়ি চালকরা বরফে ঢাকা রাস্তায় পর্যটক ভরতি গাড়ি নিয়ে এগোতে নারাজ। এমতাবস্থায় পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে।