ভুবনেশ্বর, 31 ডিসেম্বর: দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যু (Two Russian Death Case) রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি ৷ এরই মধ্যেই আরও এক রুশ নাগরিকের নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর সামনে এল ৷ এবারও ঘটনাস্থল ওড়িশা (Odisha) ৷ তবে এবার আর রায়গড় নয়, শোনা যাচ্ছে ওড়িশার পুরী (Puri) থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ওই রুশ নাগরিক (Russian goes Missing) ৷ তিনি নিজেকে যুদ্ধের সমালোচক, পুতিনবিরোধী এবং শরণার্থী হিসাবে দাবি করেন ৷ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যম এবং ইন্টারনেটে তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ৷ সেখানেই নিজের সম্পর্কে এইসব তথ্য তুলে ধরেছেন ওই ব্যক্তি ৷ চেয়েছেন সাহায্য ৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রায়গড়ের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় পাভেল আন্তভের (Pavel Antov) রক্তাক্ত দেহ ৷ রাশিয়ার এই নাগরিক সেদেশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং প্রবলভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরোধী ও সমালোচক ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে ওই একই হোটেল থেকে তাঁর সহযাত্রী ভ্লাদিমির বাইদেনভের (Vladimir Bidenov) দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ ওডিশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখনও এই জোড়া মৃত্যুর তদন্ত করছে ৷ তারই মধ্য়ে সামনে এল নতুন তথ্য ৷
আরও পড়ুন: জোড়া মৃত্যুর তদন্তে রায়গড়ের হোটেলে পৌঁছল ক্রাইম ব্রাঞ্চ
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তি বেশ কিছু সময় ধরে পুরীতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন ৷ মাঝে একবার তাঁকে ভুবনেশ্বরেও দেখা গিয়েছিল ৷ সেই সময়েই নিজেকে পুতিনবিরোধী এবং যুদ্ধবিরোধী বলে ঘোষণা করেছিলেন ওই রুশ নাগরিক ৷ ভারতের কাছে সরাসরি সাহায্যেরও আর্তি জানিয়েছিলেন তিনি ৷ স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তি মাসখানেক আগে ভুবনেশ্বর এসেছিলেন ৷ তারপর এখান থেকে চলে যান পুরীতে ৷ কিন্তু, এখন আর তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না !
তবে, এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার যে প্রয়াত দুই রুশ নাগরিকের সঙ্গে নিখোঁজ এই ব্যক্তির একটি প্রধান ফারাক রয়েছে ৷ প্রয়াত পাভেল আন্তভ ছিলেন একজন ধনী ব্যবসায়ী ৷ তাঁর সঙ্গে রাজনীতির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল ৷ তাঁর সফরসঙ্গী ভ্লাদিমির বাইদেনভও গরিব ছিলেন না ৷ কারণ, ভারতে ঘুরতে তাঁদের যথেষ্ট টাকা খরচ হচ্ছিল ৷ কিন্তু, পুরীতে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রুশ নাগরিকের এমন প্রভাব, প্রতিপত্তি বা ধন, সম্পদ ছিল বলে এখনও পর্যন্ত অন্তত জানা যায়নি ৷
মাসখানেক আগে ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনে ওই ব্যক্তি আমজনতার নজর কাড়েন ৷ তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ড দেখে অনেকেই উৎসাহী হন ৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রেলপুলিশকে বিষয়টি জানান ৷ ভুবনেশ্বর স্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলপুলিশের আধিকারিক জয়দেব বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তিনি নিজে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছিলেন ৷ কারণ, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে প্ল্যাটফর্মেই থাকছিলেন ৷ তাঁর কাছে ভিসা, পাসপোর্ট ছিল এবং তাতে কোনও সমস্যা ছিল না ৷ কিন্তু, ইংরেজি ভালো জানেন না ৷ ফলে কথাবার্তা চালাতে গিয়ে সমস্যা পড়তে হয় রেলপুলিশকে ৷ কিন্তু, বর্তমানে ওই ব্যক্তি কোথায় উধাও হয়ে গেলেন, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি ৷