ইটানগর, 2 জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইউপিএ এবং এনআইএ-র অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হলেন অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) ৷ অসমের বিধায়কের সাফ কথা, এই অপপ্রয়োগের প্রমাণ তিনি নিজেই ৷ উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধেও ইউএপিএ-র দু’টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ 2019 সালে অসমের সিএএ আন্দোলনে হিংসাত্মকভাবে যোগদানের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ শুরু হয় মামলা ৷ প্রায় দেড় বছর বন্দি থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি ৷ এনআইএ-র বিশেষ আদালত অখিল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেয় ৷ তাঁদের বেকসুর খালাস করে গুয়াহাটির ওই আদালত ৷
আরও পড়ুন : anti-CAA movement : ইউএপিএ-তে বন্দি অখিল গগৈ দেড় বছর পর বেকসুর খালাস
অখিলের অভিযোগ, এনআইএ (National Investigation Agency) কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয় ৷ বস্তুত, সেটি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র ৷ যা কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের বিপাকে ফেলার জন্য ব্যবহার করে ৷ শুক্রবার শিবসাগরের নির্দল বিধায়ক অখিল বলেন, ‘‘এনআইএ বিশেষ আদালতের এই রায় ঐতিহাসিক ৷ যাঁদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ইউএপিএ ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁদের সকলের মামলার ক্ষেত্রে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷’’
এদিন এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে অখিল বলেন, ‘‘আমার মামলাই প্রমাণ করে দিল, কীভাবে বেআইনি কার্যকলাপবিরোধী আইন এবং এনআইএ আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে ৷ যাঁদের এই আইনের আওতায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সকলের ক্ষেত্রে এই মামলার রায় একটি মাইলফলক ৷’’ প্রসঙ্গত, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যই 2019 সালের 12 ডিসেম্বর অখিলকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অখিল বলেন, ‘‘সিবিআই আর ইডি-র মতোই এনআইএ-ও কেন্দ্রের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে ৷’’
আরও পড়ুন : অসমে ইতিহাস রচনা অখিল গগৈয়ের, জিতলেন জেল থেকে লড়ে
অখিল জানিয়েছেন, তিনি যাতে কোনওভাবেই মুক্ত না হন, তা নিশ্চিত করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি এনআইএ ৷ এমনকী, বৃহস্পতিবারও তাঁর বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা রুজুর পরিকল্পনা করেছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ কিন্তু তাদের প্রতিনিধিরা আদালতে পৌঁছনোর আগেই বিচারক তাঁর রায় ঘোষণা করে দেন ৷ ফলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ৷ প্রসঙ্গত, জেলবন্দি অবস্থাতেই একুশের বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন অখিল ৷ শিবসাগরের নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি ৷