ETV Bharat / bharat

Anantnag Encounter: অনন্তনাগে ষষ্ঠদিনে পড়ল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, জঙ্গল ঘিরে চলছে অভিযান

Anantnag Encounter Enters 6th Day: গত 13 সেপ্টেম্বর অনন্তনাগের কোকারনাগের জঙ্গলে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ পাঁচদিন পেরিয়ে সোমবার ষষ্ঠ দিনেও সেই লড়াই চলছে ৷ ইতিমধ্যে তিনজন শহিদ হয়েছেন ৷ জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিরা লুকিয়ে ৷ তাই অভিযানের মেয়াদ ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 18, 2023, 3:02 PM IST

Anantnag Encounter
Anantnag Encounter

শ্রীনগর, 18 সেপ্টেম্বর: অনন্তনাগে এখনও সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টর চলছে ৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার গাদোল এলাকার (কোকারনাগ) জঙ্গলের এই এনকাউন্টার ষষ্ঠ দিনে পড়ল ৷ গত 13 সেপ্টেম্বর এই এনকাউন্টার শুরু হয় ৷ প্রথমদিনই ভারতীয় সেনার এক কর্নেল মনপ্রীত সিং ও এক মেজর আশিস ধৌনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন ডিএসপি হুমায়ুন মুজামিল ভাট শহিদ হন ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি ৷

যদিও নিরাপত্তা বাহিনী ঘন জঙ্গল এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ৷ এভাবে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ৷ কিন্তু কোনওভাবেই সব জঙ্গিকে চিহ্নিত করা যায়নি এখনও পর্যন্ত ৷ ফলে সংঘর্ষ থামছে না ৷ জঙ্গলের মধ্যে মর্টার শেলও ছোড়া হচ্ছে ৷

প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গলে বেশ কয়েকটি গুহার মতো আস্তানা রয়েছে ৷ সেখানেই জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷ সেই কারণে ওই গুহাগুলিকে খোঁজা হচ্ছে ড্রোন দিয়ে ৷ ড্রোনের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গুহা লক্ষ্য করে গত শুক্রবার সেনাবাহিনী মর্টার ছুঁড়েছিল ৷ তার পর সেখান থেকে এক জঙ্গিকে পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে ৷ কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে তার আর সন্ধান মেলেনি ৷ কিন্তু জঙ্গিরা যাতে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে পাশের পোশ ক্রিরি এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন: অনন্তনাগের জঙ্গলে টানা পঞ্চম দিনেও অব্যাহত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

এই এনকাউন্টার 2008 সালের পর থেকে তৃতীয় দীর্ঘতম অপারেশন হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে ৷ প্রথম দীর্ঘতম এনকাউন্টারটি হয় 2021 সালের অক্টোবরে ৷ সেই সময় 11 অক্টোবর অভিযান শুরু হয় ৷ তা হয়েছিল 30 অক্টোবর ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু প্রদেশের পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি ও ভিম্বার গলির মধ্যে জঙ্গলে টানা 19 দিন ধরে অভিযান চলে ৷ সেই অভিযানে দুই জুনিয়র কমিশনার অফিসার-সহ নয়জন সেনা জওয়ান শহিদ হন ।

দ্বিতীয় দীর্ঘতম এনকাউন্টারটি জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ভাট্টি ধর জঙ্গলে হয় ৷ ওই অভিযান 2008 এর 31 ডিসেম্বর থেকে 2009 সালের 9 জানুয়ারি পর্যন্ত (টানা 10 দিন) চলেছিল ৷ ওই এনকাউন্টারে চারজন জঙ্গি নিহত হন এবং একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ তিনজন নিরাপত্তা কর্মী শহিদ হন ৷

তিনটি অভিযানই জম্মু ও কাশ্মীররের পির পঞ্জাল রেঞ্জে হয়েছে ৷ কারণ, সেখানে গভীর জঙ্গল রয়েছে ৷ জঙ্গলে জঙ্গিরা একবার লুকিয়ে পড়লে, তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে ৷ সেই কারণে এবারও অনেকটা সময় লাগছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা ইটিভি ভারতকে বলেন, "গতকাল রাতে নিরাপত্তা বাহিনী এনকাউন্টার স্থল থেকে একটি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছে । পোশাক থেকে এটি একটি জঙ্গির মৃতদেহ বলে মনে হচ্ছে ৷ তবে ডিএনএ পরীক্ষার পরই স্পষ্ট ছবি বেরিয়ে আসবে । একজন সৈনিকও নিখোঁজ রয়েছে ৷ তাঁর খোঁজ করা চলছে ৷"

আরও পড়ুন: পাক সেনার গুলিবর্ষণের আড়ালে 3 জঙ্গিকে বারামুলায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিলেন ভারতীয় জওয়ানরা

তিনি আরও বলেন, "নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন ও হেলিকপ্টার এবং প্যারা কমান্ডোদের একটি বিশেষ ইউনিটকে চিরুনি তল্লাশির জন্য মোতায়েন করেছে ৷ এখনও পর্যন্ত খুব বেশি সাফল্য আসেনি । তবে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় চমৎকার । তাই প্রাথমিক ক্ষতির পর, বাহিনীর তরফে এই অভিযানকে নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে ৷’’

এই অভিযানের প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধে তিনি বলেন, "জঙ্গিদের সুবিধার জায়গা ছিল ৷ কারণ এলাকাটি পাহাড়ি এবং গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণও অভিযানকে এখনও পর্যন্ত প্রভাবিত করেছে । আমরা আশাবাদী এই অভিযান আজ শেষ হবে এবং এটি দীর্ঘতম হবে না ।"

শ্রীনগর, 18 সেপ্টেম্বর: অনন্তনাগে এখনও সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টর চলছে ৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার গাদোল এলাকার (কোকারনাগ) জঙ্গলের এই এনকাউন্টার ষষ্ঠ দিনে পড়ল ৷ গত 13 সেপ্টেম্বর এই এনকাউন্টার শুরু হয় ৷ প্রথমদিনই ভারতীয় সেনার এক কর্নেল মনপ্রীত সিং ও এক মেজর আশিস ধৌনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন ডিএসপি হুমায়ুন মুজামিল ভাট শহিদ হন ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি ৷

যদিও নিরাপত্তা বাহিনী ঘন জঙ্গল এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ৷ এভাবে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ৷ কিন্তু কোনওভাবেই সব জঙ্গিকে চিহ্নিত করা যায়নি এখনও পর্যন্ত ৷ ফলে সংঘর্ষ থামছে না ৷ জঙ্গলের মধ্যে মর্টার শেলও ছোড়া হচ্ছে ৷

প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গলে বেশ কয়েকটি গুহার মতো আস্তানা রয়েছে ৷ সেখানেই জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷ সেই কারণে ওই গুহাগুলিকে খোঁজা হচ্ছে ড্রোন দিয়ে ৷ ড্রোনের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গুহা লক্ষ্য করে গত শুক্রবার সেনাবাহিনী মর্টার ছুঁড়েছিল ৷ তার পর সেখান থেকে এক জঙ্গিকে পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে ৷ কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে তার আর সন্ধান মেলেনি ৷ কিন্তু জঙ্গিরা যাতে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে পাশের পোশ ক্রিরি এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন: অনন্তনাগের জঙ্গলে টানা পঞ্চম দিনেও অব্যাহত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

এই এনকাউন্টার 2008 সালের পর থেকে তৃতীয় দীর্ঘতম অপারেশন হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে ৷ প্রথম দীর্ঘতম এনকাউন্টারটি হয় 2021 সালের অক্টোবরে ৷ সেই সময় 11 অক্টোবর অভিযান শুরু হয় ৷ তা হয়েছিল 30 অক্টোবর ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু প্রদেশের পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি ও ভিম্বার গলির মধ্যে জঙ্গলে টানা 19 দিন ধরে অভিযান চলে ৷ সেই অভিযানে দুই জুনিয়র কমিশনার অফিসার-সহ নয়জন সেনা জওয়ান শহিদ হন ।

দ্বিতীয় দীর্ঘতম এনকাউন্টারটি জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ভাট্টি ধর জঙ্গলে হয় ৷ ওই অভিযান 2008 এর 31 ডিসেম্বর থেকে 2009 সালের 9 জানুয়ারি পর্যন্ত (টানা 10 দিন) চলেছিল ৷ ওই এনকাউন্টারে চারজন জঙ্গি নিহত হন এবং একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ তিনজন নিরাপত্তা কর্মী শহিদ হন ৷

তিনটি অভিযানই জম্মু ও কাশ্মীররের পির পঞ্জাল রেঞ্জে হয়েছে ৷ কারণ, সেখানে গভীর জঙ্গল রয়েছে ৷ জঙ্গলে জঙ্গিরা একবার লুকিয়ে পড়লে, তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে ৷ সেই কারণে এবারও অনেকটা সময় লাগছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা ইটিভি ভারতকে বলেন, "গতকাল রাতে নিরাপত্তা বাহিনী এনকাউন্টার স্থল থেকে একটি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছে । পোশাক থেকে এটি একটি জঙ্গির মৃতদেহ বলে মনে হচ্ছে ৷ তবে ডিএনএ পরীক্ষার পরই স্পষ্ট ছবি বেরিয়ে আসবে । একজন সৈনিকও নিখোঁজ রয়েছে ৷ তাঁর খোঁজ করা চলছে ৷"

আরও পড়ুন: পাক সেনার গুলিবর্ষণের আড়ালে 3 জঙ্গিকে বারামুলায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিলেন ভারতীয় জওয়ানরা

তিনি আরও বলেন, "নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন ও হেলিকপ্টার এবং প্যারা কমান্ডোদের একটি বিশেষ ইউনিটকে চিরুনি তল্লাশির জন্য মোতায়েন করেছে ৷ এখনও পর্যন্ত খুব বেশি সাফল্য আসেনি । তবে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় চমৎকার । তাই প্রাথমিক ক্ষতির পর, বাহিনীর তরফে এই অভিযানকে নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে ৷’’

এই অভিযানের প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধে তিনি বলেন, "জঙ্গিদের সুবিধার জায়গা ছিল ৷ কারণ এলাকাটি পাহাড়ি এবং গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণও অভিযানকে এখনও পর্যন্ত প্রভাবিত করেছে । আমরা আশাবাদী এই অভিযান আজ শেষ হবে এবং এটি দীর্ঘতম হবে না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.