নয়াদিল্লি, 5 জুলাই: একের পর এক জনস্বার্থ মামলায় জেরবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বেশিরভাগ জনস্বার্থ মামলাই তুচ্ছ। সেগুলি শুনানির তেমন কোনও যথার্থতা নেই ৷ মঙ্গলবার কয়েকজন মামলাকারীকে আদালতের কার্যপ্রক্রিয়া অপব্যবহারের জন্য ভর্ৎসনা করে সর্বোচ্চ আদালত ৷
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে সম্প্রতি চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ৷ এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি পিএস নরসিমহাও ৷ সেখানেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী পড়ুয়া ৷ তিনি সাংবিধানিক ক্ষেত্রে যে কোনও রকমের পুরুষসুলুভ সম্বোধনকে বাতিল করার নির্দেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ আইনজীবী পড়ুয়ার দাবি, পুরুষ সম্বোধনের ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ অর্থাৎ সরকারি ক্ষেত্রে 'স্যর' বা এই ধরনের সম্বোধন বন্ধ করতে চেয়েছিলেন মামলাকারী।
এই মামলাটি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ৷ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ওই আইনজীবী পড়ুয়ার বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান ৷ তিনি মামলাকারীকে আইনি পাঠে মন দেওয়ার পরামর্শ দেন ৷ বেঞ্চ মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, "এখানে এধরনের মামলা দায়ের না-করে আপনি আইনি স্কুলে গিয়ে আইনের পাঠ নিচ্ছেন না কেন ?" অসন্তোষ প্রকাশ করে বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, মামলাকারী যদি আগামিদিনের আইনজীবী না হতেন, তাহলে তাঁকে আর্থিক জরিমানা করত সর্বোচ্চ আদালত ৷ বেঞ্চ বলে, "এবার থেকে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে টাকা লাগবে ৷ সেই ব্যবস্থা চালু করবে আদালত ৷ "
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি তিস্তা সেতলওয়াড়ের, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ
আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় জাতিভেদপ্রথার ফের শ্রেণিবিন্যাসের দাবিতে ৷ মামলাকারী আইনজীবী ছিলেন সচিন গুপ্তা ৷ সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেয় ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, এই মামলা দায়েরের জন্য মামলকারীকে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে অ্যাডভোকেট'স ওয়েলফেয়ার ফান্ডে 25 হাজার টাকা জমা দিতে হবে ৷ মামলাকারী টাকা জমার দেওয়ার বিলটি 2 সপ্তাহের মধ্যে আদালতের রেজিস্ট্রির কাছে জমা দেবে ৷