নয়াদিল্লি, 11 অক্টোবর : কয়লা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তিসম্পদ মন্ত্রী আর কে সিং (R. K. Singh) এবং কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (Pralhad Joshi) ৷ এই দুই মন্ত্রকের আধিকারিকরা ছাড়াও বৈঠকে যোগ দেন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগম (National Thermal Power Corporation) বা এনটিপিসি-র (NTPC) উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা ৷ উল্লেখ্য়, সম্প্রতি দেশজুড়ে কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছে ৷ যার জেরে উৎসবের মরশুমে একাধিক রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের ৷ তার জেরেই এদিনের এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে ৷ বৈঠকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ কীভাবে সমস্যার মোকাবিলা করা হবে, আলোচনা হয়েছে তা নিয়েও ৷
আরও পড়ুন : Rujira Banerjee : সশরীরে হাজিরার প্রয়োজন নেই, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি রুজিরার
প্রসঙ্গত, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মধ্যে 135 টি চলে কয়লা দিয়ে ৷ এর মধ্যেই অর্ধেকরও বেশি কেন্দ্রে কয়লার সঙ্কট ব্যাপক আকার নিয়েছে ৷ তাদের হাতে তিনদিনেরও কম জ্বালানি মজুত রয়েছে ৷ যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা ভারতের একার নয় ৷ অতিমারি আবহে এবং লকডাউন পরবর্তী সময়ে চাহিদা ও জোগানের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে ৷ তার জেরেই তৈরি হয়েছে এই সঙ্কট ৷
এর পাশাপাশি, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত (1 থেকে 9 অক্টোবর, 2021) সবথেকে বেশি (3,900 মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে গত 8 অক্টোবর ৷ এর জেরে ভাঁড়ারে আরও টান পড়েছে ৷ এরই মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা ডিডিএল-এর (Tata Power Delhi Distribution Limited) একটি বার্তা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বই কমায়নি ৷ টাটার এই শাখা সংস্থা দিল্লির উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ৷ গত শনিবার তারা তাদের গ্রাহকদের একটি ‘মেসেজ’ পাঠায় ৷ তাতে কয়লার জোগান কম থাকার কারণে বিদ্যুৎ সঙ্কটের কথা সরাসরি বলা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, গ্রাহকদের সচেতনভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয় ডিডিএল-এর তরফে ৷
আরও পড়ুন : Ladakh talks : মাঝপথে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে তোপ চিনের
যদিও কয়লা মন্ত্রকের দাবি, কয়লার জোগান কম থাকলেও তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই ৷ পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেই আছে বলেও দাবি করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে ৷ যদিও তাতে আশঙ্কা কাটছে না ৷ কারণ, খোদ রাজধানী শহরেই এনটিপিসি-র অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি মোট ধারণ ক্ষমতার মাত্র 55 শতাংশ মজুত কয়লা নিয়ে কাজ করে চলেছে ৷ সেক্ষেত্রে আগামী এক-দু’দিন বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত থাকলেও তারপর কী হবে বলা মুশকিল ৷