কলকাতা, 1 জুলাই : ভাগাভাগি কেবল ভারত-পাক সীমান্তে আটকে নেই, জাতি হিসেবে এখন বিভক্ত করা হচ্ছে আমাদের ৷ বৃহস্পতিবার সল্টলেক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen says India facing collapse of nation crisis at Saltlake) ৷ অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার লাইন ধার করে এদিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বললেন, "আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কীসে ভয় পান ? তাহলে বলব, আমি জাতির ভাঙনে আমি ভয় পাই ৷ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, নেতাজি আমাদের অন্য শিক্ষা দিয়ে এসেছেন ৷ জাতির ভাঙন রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ আর এখানেই অনেকটা পিছিয়ে ভারত ঐতিহাসিকভাবে সহিষ্ণু।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, "হিন্দু সংস্কৃতি দেশ নয়, মুসলিমরাও ভারতের অংশ। তার প্রমাণ তাজমহল | আমার মনে হয় না হিন্দুরা এককভাবে তাজমহল তৈরি করার কৃতিত্ব নিতে পারে। শঙ্কর আলী আকবর খান সাধনার প্রকৃত উদাহরণ ৷ বিভাজন উপেক্ষা করলে হবে না, সহিষ্ণুতার কথা বললেও হবে না। তবে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এই সঙ্কটকালে দেশের বিচারবিভাগ এক বড়সড় অবলম্বন বলে বিশ্বাস অমর্ত্য সেনের ৷
আরও পড়ুন : 'দেশজুড়ে অস্থিরতার জন্য একমাত্র দায়ী নূপুর শর্মা', ক্ষমা চাইতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তাঁর কথায়, "আমাদের বিচার ব্যবস্থা এবং আমলাতন্ত্রের মধ্যে ভারসাম্য রাখা দরকার ৷ প্রধান বিচারপতি প্রভাবিত হয়ে যদি রায় দেন তাহলে তা উদ্বেগের তো বটেই। ভারত-পাকিস্তানের বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় অন্নদাশঙ্করের কবিতা বর্তমান ভারতে বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। জাত-পাতকে সামনে রেখে ভাগ করার চেষ্টা চলছে যার কুফল আসতে চলেছে সেটা চিন্তার বিষয় কু-যুক্তি কোন যুক্তি নয়।" পাশাপাশি ঔপনিবেশিক আইনকে হাতিয়ার করে বহু মানুষকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা খুব চিন্তার বিষয়, মনে করেন অমর্ত্য সেন ৷