মুম্বই, 22 ডিসেম্বর: ওয়েব সিরিজের মহিলা সহকারী পরিচালককে হুমকি এবং তাঁর থেকে তোলাবাজির অভিযোগ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার নগ্ন ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ৷ জানা গিয়েছে, একটি ডেটিং অ্যাপে মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের পরিচয় হয় ৷ সেখানেই ভিডিয়ো চ্যাটে মহিলাকে বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই ভিডিয়ো চ্যাট রেকর্ড করেই মহিলাকে ব্ল্যাক মেইল করা হয় ৷ মুম্বইয়ের মালাডের এই ঘটনায় মালভানি থানাক পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে ৷ মোট 4 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গত 11 ডিসেম্বর ওয়েব সিরিজে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করা মহিলা মালভানি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি মোবাইলে একটি ডেটিং অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলেন তিনি ৷ সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর ৷ প্রথমে মেসেজে কথা হত তাঁর সঙ্গে ৷ পরে তাঁরা ভিডিয়ো চ্যাটে কথা বলা শুরু করেন ৷ বেশ কিছুদিন পর, তাঁরা বাইরে দেখা করার পরিকল্পনাও করেন ৷ অভিযোগ এরই মাঝে ওই ব্যক্তি মহিলাকে ভিডিয়ো চ্যাটে বিবস্ত্র হতে বলেন ৷ তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও নাকি একপ্রকার বাধ্য করা হয় বলে পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন অভিযোগকারী ৷
কয়েকদিন পরে ডেটিং অ্যাপের মেসেজ বক্সে মহিলাকে ওই ব্যক্তি হুমকি দেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর রেকর্ড করা নগ্ন ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি ৷ প্রমাণ হিসেবে মহিলার মোবাইলে একটি অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে মেসেজ আসে ৷ সেখানে একটি ভিডিয়ো পাঠানো হয় ৷ অভিযোগ সেটি ডেটিং অ্যাপ থেকে রেকর্ড করা মহিলার নগ্ন ভিডিয়ো ছিল ৷ এমনকি তাঁকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেওয়া হয় ৷ সেখানে 75 হাজার টাকা জমা করতে বলা হয় ৷ তা না হলে, ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়া ও পর্নগ্রাফিক সাইটে আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্ত ৷
সেই সময় ভয় পেয়ে এককালীন 35 হাজার টাকা ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন অভিযোগকারী ৷ কিন্তু, তার পরেও হুমকির পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং আরও টাকা চাওয়া হয় ৷ তখনই গত 11 ডিসেম্বর মহিলা মালভানি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেখানে মোট 4 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি ৷ মালভানি থানার পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম বিভাগ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করছে ৷ মূল অভিযুক্তকে ওই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও হুমকি মেসেজ পাঠানো মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে বাকিদের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: