ভুবনেশ্বর, 11 অক্টোবর: মাসচারেক আগে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল প্রায় তিনশো লোকের প্রাণ ৷ এতদিনেও ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে 28টি দেহ সনাক্ত হয়নি ৷ সেই অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলির সৎকার করল ভুবনেশ্বর পৌরনিগম ৷ মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল 8টা পর্যন্ত সৎকারের এই প্রক্রিয়া চলে ৷ ওই পৌরনিগমের মেয়র সুলোচনা দাস জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে পুরো কাজ করানো হয় ৷
গত 2 জুন সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনের অদূরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয় ৷ চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৷ মৃত্যু হয় 297 জনের ৷ আহত হন অনেকে ৷ অনেক নিহতের দেহ সনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা ৷ 28 জনের দেহ সনাক্ত করা যায়নি ৷
গত চারমাস ধরে সেই দেহগুলি ভুবনেশ্বর এইমস-এ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল ৷ সিবিআই যেহেতু এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে, তাই মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতে 28টি দেহ ভুবনেশ্বর এইমস-এর তরফে হস্তান্তর করা হয় ভুবনেশ্বর পৌরনিগমকে ৷ তার পর মুখাগ্নি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে এই সৎকারের কাজ করা হয় ৷ রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই এই কাজ করা হয়েছে ৷
সৎকার হলেও নিয়ম মেনে অজ্ঞাতপরিচয় ওই দেহগুলির ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে ৷ ভবিষ্য়তে কেউ যদি দাবি করেন, তাহলে ওই ডিএনএ দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারও মৃত্যু হয়েছে কি হয়নি, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে ৷
ভুবনেশ্বর এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পর 4 জুন রাতে তাদের কাছে 123টি দেহ দেওয়া হয় ৷ 39টি দেহ ক্যাপিটাল হাসপাতাল ও অন্য বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র থেকে আসে ৷ এর মধ্যে 81টি দেহ সনাক্ত হয় ৷ 53টি দেহ ডিএনএ পরীক্ষা থেকে সনাক্ত হয় ৷ বাকি 28টি সনাক্ত করা না যাওয়ায়, তা নিয়ম মেনে সৎকার করা হয় ৷ যদিও এই নিয়ে আগেই খুরদার প্রশাসনের কাছে আরজি জানিয়েছিল সিবিআই ৷
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: বালাসোরের দুর্ঘটনায় শনাক্ত না-হওয়া দেহগুলি সৎকারের জন্য পৌরনিগমের হাতে তুলে দিল এইমস