প্রয়াগরাজ, 16 এপ্রিল: উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ খুনের ঘটনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিজেপিকে একহাত নিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ৷ শনিবার রাতে যোগী সরকারের পুলিশের ঘেরাটোপে আতিক এবং আশরফের উপর হামলা চালায় আততায়ীরা ৷ মুহুর্মুহু চলতে থাকে গুলি ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আতিক এবং আশরফের ৷ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি রবিবার বলেন, "আমি সবসময় বলে আসছি, বিজেপি উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন নয়, বন্দুকের শাসন চালাচ্ছে।" এই ঘটনার জেরে উত্তপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগেরও দাবি করেন হায়দরাবাদের সাংসদ ৷
একই সঙ্গে গোটা ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতি চেয়ে ওয়াইসি বলেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এই বিষয়ে তাঁর কী বলার আছে ? প্রধানমন্ত্রী ভাষণে বলেন, তাঁকে মারার চক্রান্ত চলছে । কিন্তু উনি যে রাজ্যের সাংসদ সেখানে এখন কী হচ্ছে ? গতকালের ঘটনার পর ভারতের প্রতিটি নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন ৷"
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে আতিক এবং আশরফকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাসপাতালের পথেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক। সেই সময়ই আচমকাই তাঁদের উপর হামলা চালায় আততায়ীরা ৷ আতিক এবং আশরফকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চলতে থাকে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। মাথায় গুলি লাগে আতিকের। ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে ৷ ওয়াইসির অভিযোগ, এই ঘটনা আসলে একটি 'ঠাণ্ডা মাথার খুন'। তাঁর কথায়, "এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এরপর কি দেশের সংবিধান ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি জনগণের আস্থা থাকবে?" ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি সাংসদের।
এদিন ওয়াইসি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত ৷ ওয়াইসি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। সেই কমিটিতে উত্তরপ্রদেশের কোনও অফিসারকে রাখা যাবে না ৷ পাশাপাশি কীভাবে হত্যাকারীরা অস্ত্র পেল? এদিন সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন ওয়াইসি । তাঁর দাবি, তিনি মরতে প্রস্তুত ৷ অবশ্যই উত্তরপ্রদেশে যাবেন। মৃত্যুকে তিনি ভয় পান না ।
আরও পড়ুন: 'পুলিশ নিয়ে যায়নি, তাই যাইনি'! ছেলের সমাধিস্থলে যাওয়া নিয়ে শেষ কথা বলেই লুটিয়ে পড়ল আতিক