নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: বিরল অস্ত্রোপচারে চূড়ান্ত সাফল্য় পেলেন নয়াদিল্লি এইমসের (New Delhi AIIMS) চিকিৎসকেরা ৷ প্রসূতির গর্ভস্থ সন্তানের হৃদযন্ত্রে সমস্য়া আছে তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন চিকিৎসকেরা ৷ শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সমস্য়া বড় আকার ধারণ করবে ৷ এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা চিকিৎসকদের সামনে ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত মাত্র 90 সেকেন্ডে গর্ভস্থ ভ্রূণের জটিল অস্ত্রোপচার সেরে নজির গড়ল দিল্লির এইমস-এর চিকিৎসকেরা৷ অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রসূতি এবং সন্তান দু'জনেই সুস্থ আছেন ৷
এইমস সূত্রে খবর, আগেও বেশ কয়েকবার সন্তান ধারণ করতে চেয়েও বিফল হয়েছেন ওই তরুণী ৷ 28 বছর বয়সী ওই তরুণী চতুর্থবার সন্তান ধারণ করলেও একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন ৷ সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর জানায়,গর্ভস্থ ভ্রূণের হৃদযন্ত্রে বেশ বড় সমস্য়া রয়েছে ৷ চিকিৎসকদের বক্তব্য়, এই সন্তান ভূমিষ্ঠ হলেও তার স্বাভাবিক বিকাশ হওয়ার কোনও সম্ভবনা ছিল না ৷ সুতরাং গর্ভে থাকা অবস্থাতেই ওই ভ্রূণের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রপচার করতে হবে ৷ এইমসের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, গর্ভে থাকাকালীণই ওই ভ্রূণকে সুস্থ করে তোলা হবে ৷ যদিও এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সামনে বড় চ্য়ালেঞ্জ ছিল সময় ৷ মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় ভ্রূণের অস্ত্রোপচারের জন্য় মাত্র 90 সেকেন্ড সময় ছিল চিকিৎসকদের হাতে ৷ এর মধ্য়েই যাবতীয় কাজ সারতে হবে চিকিৎসকদের ৷
মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রূণের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রপচার যথেষ্ট জটিল ৷ চিকিৎসকদের মতে, এই অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে মায়ের তলপেট দিয়ে একটি সুঁচ প্রবেশ করানো হয় ৷ যা সরাসরি পৌঁছে যাবে গর্ভস্থ ভ্রূণের হৃদযন্ত্রে ৷ সেখানে বেলুন ক্য়াথিটারের মাধ্য়মে হৃদযন্ত্রে আটকে থাকা ভাল্বকে ফের সচল করা হয় ৷ সেক্ষেত্রে অসাবধানতায় ভ্রূণ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনাও থাকে ৷ এক্ষেত্রে অবশ্য় তেমন কিছুই হয়নি ৷ এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছে আল্ট্রাসাউন্ড গাইডেন্সের (Ultrasound Guidance) মধ্য়ে দিয়ে ৷ তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সামনে বড় চ্য়ালেঞ্জ ছিল সময় ৷ প্রক্রিয়াটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে ভ্রূণের মৃত্য়ু নিশ্চিত ছিল ৷ যদিও তেমন কোনও ঘটনা এক্ষেত্রে ঘটেনি ৷ এদিন এইমসের চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী ৷