চেন্নাই, 11 জুলাই: দলের সাধারণ সদস্যপদটুকুও হারাতে হল তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভমকে (Ottakarathevar Panneerselvam) ৷ রাজনৈতিক মহলে এবং আমজনতার মধ্যে তিনি ওপিএস (OPS) নামেই বেশি পরিচিত ৷ সোমবার তাঁকে এআইএডিএমকে (AIADMK) থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ একইসঙ্গে, এআইএডিএমকে-এর সদস্যপদ হারাতে হয় আর বৈথিলিঙ্গম, জেসিডি প্রভাকর এবং পিএইচ মনোজ পণ্ডিয়ানকে ৷ তবে, শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, ওপিএস-এর ছেলে তথা থেনির সাংসদ পি রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷ উলটোদিকে, এ দিনই দলের অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী (Edappadi K Palaniswami) বা ইপিএস-কে (EPS) ৷
সূত্রের খবর, ইপিএস-কে যাতে দলে সর্বোময় নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তার প্রস্তুতি চলছিল ৷ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই জরুরি অন্তর্বর্তী বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ কিন্তু, বেঁকে বসেন ওপিএস ৷ ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ যদিও শেষমেশ আদালতে ধাক্কা খেতে হয় ওপিএস-কে ৷
সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) রায় দেয়, এআইএডিএমকে নেতৃত্ব চাইলে তাদের অন্তর্বর্তী বৈঠক করতেই পারে ৷ ফলে সোমবারই বৈঠকে বসেন দলের শীর্ষ নেতারা ৷ এই বৈঠকেই সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বোচ্চ ক্ষমতার সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পালানিস্বামীকে সেই পদের অন্তর্তবর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ আর দায়িত্ব পেয়েই ওপিএস-কে দল থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া সেরে ফেলেন পালানিস্বামী ৷
এ দিকে, এই ঘটনায় দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভেদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ আদালতের রায় প্রকাশ্য়ে আসার পরই চেন্নাইয়ে এআইএডিএমকে-র সদর কার্যালয়ের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা ৷ সূত্রের দাবি, এঁদের এক পক্ষ ওপিএস-এর সমর্থক এবং অন্য পক্ষ ইপিএস-এর অনুগামী ৷ দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতেই ছিল দলীয় পতাকা, পোস্টার, ব্য়ানার ৷ একে অপরের দিকে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি দুই পক্ষকেই পরস্পরের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়তে দেখা যায় ! ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় ৷ তবে, এই সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ৷