ETV Bharat / bharat

Mute Diwali Celebration: গ্রামে দীপাবলি উদযাপনে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা, শিশুরা বাজি পোড়ানোর বায়না করলে পাঠানো হয় মামাবাড়ি

কয়েক দশক ধরে দীপাবলি পালন হয় না পঞ্জাবের তিনটি গ্রামে ৷ কিন্তু কেন খোদ প্রশাসনের বারণ রয়েছে এই গ্রাম তিনটিতে বাজি পোড়ানোর ?

Etv Bharat
দীপাবলি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 8, 2023, 10:56 PM IST

বাথিন্দা (পঞ্জাব), 8 নভেম্বর: সারা দেশ যখন দীপাবলিতে আতসবাজি ফাটানো ও প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তখন এই আলোর উৎসবে পঞ্জাবের বাথিন্দার তিনটি গ্রাম নিস্তব্ধ রয়েছে কয়েক দশক ধরে ৷ কারণ এই গ্রামগুলির কাছেই রয়েছে সেনা ছাউনি ও গোলাবারুদের ডিপো ৷

ফুস মান্ডি, অংশু ও গুলাবগড় গ্রামে আতসবাজি ব্যবহার ও খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে ৷ এই গ্রামের এক প্রবীণের কথায়, "গত পাঁচ দশক ধরে তাঁরা দীপাবলি উদযাপন করেননি ৷ নির্মাণের আগে বিশাল জমি অধিগ্রহণের পর 1976 সালে সাময়িক ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হয় ৷ এখানকার শিশুরা যখন দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর জন্য বায়না ধরে, তখন তাদের মামাবাড়ি বা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাজি ফাটালে বা খড় পোড়ালে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷"

দীপাবলি উদযাপন করতে না-পারা ছাড়াও ফুসমান্ডির গ্রামবাসীরা জানান, কখনও কখনও মেয়াদোত্তীর্ণ গোলাবারুদের টুকরো গ্রামে পড়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল ৷ এই ধরনের ঘটনায় সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ এছাড়াও এই এলাকায় নতুন কোনও নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এই গ্রামবাসীর কথায়, "গ্রামের কোনও ব্যক্তি যদি রাতে তার জমিতে জল দেওয়া বা চা বানাতে যায় তৎক্ষণাৎ সেনাবাহিনী এসে ওই ব্যক্তিকে এলাকায় আগুন না জ্বালানোর জন্য সতর্ক করে ৷ বিশেষ করে সেনাবাহিনীর এই নজরদারি আরও কঠোর হয় দীপাবলি ও ধানের মরশুমের সময় ৷"

গ্রামবাসীরা আরও জানান, আর্মি ক্যান্টনমেন্ট ও ডিপোর কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এবং সড়ক যোগাযোগের অভাবে তাদের গ্রামের জমির দাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এমনকী আত্মীয়-স্বজনরাও উৎসবের সময় এই গ্রামে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দ্বিধাবোধ করেন কারণ তারা দীপাবলি উদযাপন করতে সক্ষম হন না ৷ স্থানীয়দের দাবি, এই বিষয়ে প্রশাসনের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে তারা মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক আলোর উৎসব উদযাপন করতে পারে ।

আরও পড়ুন : মাটি ছেড়ে হুগলিতে 'সুপারহিট' গোবরের প্রদীপ, তৈরি করছেন গ্রামের মহিলারা

বাথিন্দা (পঞ্জাব), 8 নভেম্বর: সারা দেশ যখন দীপাবলিতে আতসবাজি ফাটানো ও প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তখন এই আলোর উৎসবে পঞ্জাবের বাথিন্দার তিনটি গ্রাম নিস্তব্ধ রয়েছে কয়েক দশক ধরে ৷ কারণ এই গ্রামগুলির কাছেই রয়েছে সেনা ছাউনি ও গোলাবারুদের ডিপো ৷

ফুস মান্ডি, অংশু ও গুলাবগড় গ্রামে আতসবাজি ব্যবহার ও খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে ৷ এই গ্রামের এক প্রবীণের কথায়, "গত পাঁচ দশক ধরে তাঁরা দীপাবলি উদযাপন করেননি ৷ নির্মাণের আগে বিশাল জমি অধিগ্রহণের পর 1976 সালে সাময়িক ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হয় ৷ এখানকার শিশুরা যখন দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর জন্য বায়না ধরে, তখন তাদের মামাবাড়ি বা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাজি ফাটালে বা খড় পোড়ালে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷"

দীপাবলি উদযাপন করতে না-পারা ছাড়াও ফুসমান্ডির গ্রামবাসীরা জানান, কখনও কখনও মেয়াদোত্তীর্ণ গোলাবারুদের টুকরো গ্রামে পড়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল ৷ এই ধরনের ঘটনায় সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ এছাড়াও এই এলাকায় নতুন কোনও নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ এই গ্রামবাসীর কথায়, "গ্রামের কোনও ব্যক্তি যদি রাতে তার জমিতে জল দেওয়া বা চা বানাতে যায় তৎক্ষণাৎ সেনাবাহিনী এসে ওই ব্যক্তিকে এলাকায় আগুন না জ্বালানোর জন্য সতর্ক করে ৷ বিশেষ করে সেনাবাহিনীর এই নজরদারি আরও কঠোর হয় দীপাবলি ও ধানের মরশুমের সময় ৷"

গ্রামবাসীরা আরও জানান, আর্মি ক্যান্টনমেন্ট ও ডিপোর কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এবং সড়ক যোগাযোগের অভাবে তাদের গ্রামের জমির দাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এমনকী আত্মীয়-স্বজনরাও উৎসবের সময় এই গ্রামে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দ্বিধাবোধ করেন কারণ তারা দীপাবলি উদযাপন করতে সক্ষম হন না ৷ স্থানীয়দের দাবি, এই বিষয়ে প্রশাসনের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে তারা মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক আলোর উৎসব উদযাপন করতে পারে ।

আরও পড়ুন : মাটি ছেড়ে হুগলিতে 'সুপারহিট' গোবরের প্রদীপ, তৈরি করছেন গ্রামের মহিলারা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.