নয়া দিল্লি , 30 জুন : মুর্শিদাবাদ জেলার কাকমারিতে স্থলবন্দর তৈরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন জাতীয় কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী ৷ লিখেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যতম দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করেছে ৷ মুর্শিদাবাদ ও রাজশাহী জেলার বিপুল মানুষের সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিজনেরা রয়েছেন ৷
বহরমপুরের সাংসদ লিখেছেন , " মুর্শিদাবাদের সবচেয়ে কাছের চেকপোস্ট রয়েছে মালদা ও উত্তর 24 পরগনা জেলায় ৷ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের কাছে 10 ঘণ্টার সড়কযাত্রা করে সীমান্ত পার করা রীতিমতো আতঙ্কের ৷ দুপারের বাসিন্দাদের কাছেই যা অত্যন্ত বেদনার ৷ এতটা দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর যাত্রা মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করেছে ৷ তাই তাঁরা দুই দেশের মধ্যবর্তী নদী পেরিয়ে যাতায়াতের পথ বেছে নিয়েছে ৷ এর ফলে সীমান্তে অবৈধ ব্যবসা বাড়ছে ৷ "
তিনি আরও লিখেছেন , " ভারতের বহু মহান বিজ্ঞানী , স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি বর্তমান বংলাদেশের রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ তার মধ্যে রয়েছেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় , জগদীশচন্দ্র বোস , মাইকেল মধুসূদন দত্ত , মাস্টারদা সূর্য সেন প্রমুখ ৷ "
অধীর চৌধুরী আরও লিখেছেন , " মুর্শিদাবাদে যেহেতু অসুরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে এবং জলঙ্গী ব্লকের আসে পাশের বাসিন্দারা অত্যন্ত দরিদ্র । এই সুযোগটাই কাজে লাগায় পাচারকারীরা । সীমান্ত এলাকার দরিদ্র ও কর্মহীন যুবকদের ভুল বুঝিয়ে পাচারের মত বৈআইনি কার্যকলাপে যুক্ত হতে বাধ্য করে । পদ্মা নদীর উপর দিয়ে মুর্শিদাবাদ ও জলঙ্গীর মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দুই দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করবে । শুধু তাই নয় যাদের পাচারকারী বলা হয় তারাও বৈধ ব্যবসা করার সুযোগ পাবে ।"
আরও পড়ুন : উপনির্বাচন না করে মমতাকে আটকাতে চায় বিজেপি, তোপ অধীরের
তিনি আরও লিখেছেন , " এই কারণে, যথাযথ সীমান্ত চৌকি তৈরি করলে দুই দেশের সরকারই ভাল মুনাফা পাবে এবং আশপাশের গ্রামের মানুষের বাণিজ্য করার সুযোগ তৈরি হবে । ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়ের সমস্ত দিক বিবেচনা করে অনুরোধ করছি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ব্লকের কাকমারি ও বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চারঘাটে স্থলবন্দর গড়ে তোলা হোক । আমার বিনীত অনুরোধ এই বিষয়ে উদ্যোগ নিন এবং এই বন্দর হলে দুই দেশের মানুষ আপনাকে মনে রাখবে । "