নয়াদিল্লি, 30 অগস্ট : বেআইনি অর্থিক লেনদেনের ঘটনায় সাক্ষী হিসাবে জেরার মুখে পড়তে হল বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) ৷ সোমবার দিল্লিতে টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন ইডির (Enforcement Directorate) গোয়েন্দারা ৷ সূত্রের খবর, যাকে ঘিরে এত কাণ্ড, তার নাম সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrashekar) ৷ অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার তোলাবাজির কারবার চালায় এই সুকেশ ৷ এমনকী, নির্বাচন কমিশনকে ঘুষ দেওয়ার একটি ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে এই সুকেশের ৷
আরও পড়ুন : Raj kundra pornography case : নীল বিতর্কে রাজ
এদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ইডির একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, জ্য়াকলিন অভিযুক্ত নন ৷ সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে চলা একটি মামলায় সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে ৷ প্রসঙ্গত, বলিউডে অভিনয় করলেও 36 বছরের জ্যাকলিন আদতে পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কার নাগরিক ৷ কিন্তু, কর্মসূত্রে এখন অধিকাংশ সময় ভারতেই থাকতে হয় তাঁকে ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 24 অগস্ট এই মামলায় বেশ কিছু সম্পত্তি ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ এর মধ্যে রয়েছে চেন্নাইয়ের একটি বিলাসবহুল বাংলো ৷ 12টিরও বেশি দামি গাড়ি এবং নগদ 82 লাখ 50 হাজার টাকা ৷ দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত শাখার দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতেই এই মামলা ও তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ গোয়েন্দাদের দাবি, প্রায় 200 কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে এই ঘটনায় ৷ সুকেশ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা ও তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Raj Kundra : শিল্পার কথা বলে চুক্তি করে পরে নগ্ন ফিল্ম করতে বলেন রাজ : শার্লিন
চেন্নাইয়ের অভিযানের পর এই মামলা প্রসঙ্গে ইডির তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয় ৷ তাতে বলা হয়, ‘‘এই জালিয়াতির মূল চক্রী সুকেশ চন্দ্রশেখর ৷ 17 বছর বয়সেই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় তার ৷ তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই অসংখ্য মামলা চলছে ৷ আপাতত রোহিনী সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে সে ৷’’ অভিযোগ, এআইএডিএমকে নেতা টিটিভি দিনাকরণের (TTV Dhinakaran) কাছ থেকেও তোলা আদায় করেছে এই সুকেশ !