কোয়েম্বাটুর, 29 অক্টোবর: মন্দিরে গাড়ি বোমা বিস্ফেরণের লক্ষ্যেই বিস্ফোরক জোগাড় করেছিল জামিশা মুবিন ৷ কোয়েম্বাটুর গাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় (Coimbatore Car Blast Case) প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে ৷
গত 23 অক্টোবর তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাটুরের উক্কাডামের কোট্টাই ঈশ্বরণ মন্দিরের (Kottai Easwaran Temple) কাছে বিস্ফোরণ ঘটে ৷ গাড়িতে রাখা সিলিন্ডার থেকেই বিস্ফোরণ বলে জানা গিয়েছে ৷ বিস্ফোরণের আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায় জামিশার দেহ ৷ পরে পুলিশ অন্য উপায়ে দেহ সনাক্ত করে ৷
পুলিশের একটি সূত্র থেকে তখন জানা গিয়েছিল, এনআইএ (NIA) ওই যুবককে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ৷ তাঁর সঙ্গে আইসিস (ISIS) ও অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের যোগ ছিল ৷ তাই বিস্ফোরণ আচমকাই হয়, নাকি পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে কি না, তখন বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছিল ৷
কারণ, ঘটনাস্থল থেকে মারবেল গুলি ও পেরেকের টুকরো পাওয়া গিয়েছে ৷ তাছাড়া বিস্ফোরণে পটাশিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, সালফার ও চারকোল ব্যবহার করা হয়েছে ৷ তা দেখে এই ঘটনাকে পরিকল্পনামাফিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছিলেন গোয়েন্দাদের একাংশ ৷ প্রাথমিক তদন্ত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান ৷
এদিকে এখনও পর্যন্ত হওয়া তদন্তে উঠে এসেছে যে মুবিনের দুই আত্মীয় আজহারউদ্দিন ও আফসার খান সম্প্রতি শহরের বেশ কয়েকটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ৷ সেই তালিকায় কোট্টাইমেড়ু কোনিয়াম্মান মন্দিরও ছিল ৷
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোয়েম্বাটুর পুলিশ (Coimbatore Police) ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতরা হল - মহম্মদ ধালহা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াস, ফিরোজ ইসমাইল, মহম্মদ নবাজ ইসমাইল ও আফসার খান ওরফে উপসার খান ৷ এই মহম্মদ আজহারউদ্দিন ও আফসার খান মুবিনের নিকট আত্মীয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে ৷ ধৃতদের তিনদিনের জন্য আদালত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ আপাতত তাদের জেরা করে পুলিশ এই ঘটনায় আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে ৷
এদিকে শুক্রবার এই ঘটনায় তদন্তের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ ৷ এই ঘটনার পিছনে আন্তর্জাতিক যোগ থাকতে পারে এই অনুমান করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিজেই কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা দিয়ে তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ৷ ফলে এনআইএ তদন্ত শুরু করার পর এই ঘটনায় নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার ৷
আরও পড়ুন: কোয়েম্বাটুরে গাড়ি বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক তামিলনাড়ু পুলিশ