নয়া দিল্লি, 21 অক্টোবর: পুলিশের জালে সুইস মহিলা হত্যায় অভিযুক্ত বন্ধু ৷ শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তের নাম গুরপ্রীত ৷ শুক্রবার দিল্লির তিলক নগরের এমসিডি স্কুল এলাকায় হাত- পা বাঁধা অবস্থায় এক সুইস মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ৷ দেহটি একটি কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল ৷ কয়েকজন পথচারী প্লাস্টিকটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে ৷ তদন্তে নেমেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷
তদন্তের স্বার্থে এলাকার সিসটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ৷ সেই ফুটেজে দেখা যায় একটি গাড়ি এসে সংশ্লিষ্ট এলাকায় থামে ৷ তারপর সেখান থেকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে করে দেহটি ছুড়ে ফেলা হয় ৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ওই বিদেশিনীকে 'খুন' করে ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়ির নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি উদ্ধার করেছে ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ গাড়িটিতে বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ অভিযুক্ত গুরপ্রীতকে গ্রেফতার করেছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ ৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ জানতে পারে, চার বছর আগে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার ৷ পরে তা বন্ধুত্বে পরিণত হয় ৷ অভিযুক্তের সঙ্গে মেয়েটির প্রমের সম্পর্ক ছিল । সম্প্রতির মেয়েটির অন্য একজন প্রেমিক ছিল ৷ তা নিয়েই সমস্যার সৃষ্টি হয় ৷ এরপরেই ওই বিদেশীনিকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় ৷ তার জন্য মেয়েটিকে সুইজারল্যান্ড থেকে দিল্লিতে ডাকে ৷ সেখানে তাকে খুন করে ৷ ওই মেয়েটির পরিচয় পত্র ব্যবহার করে একটি গাড়ি কেনে ৷ সেই গাড়ি করেই দেহটি ফেলে দেয় ৷
আরও পড়ুন: টাকা হাতানো, হয়রানি-হুমকির অভিযোগ; পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশে উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতা
এই প্রসঙ্গেই ডিসিপি (ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ) বিচিত্রা বীর জানান, "প্রাথমিকভাবে, আমরা ভেবেছিলাম এটি একটি খুনের মামলা। আমরা 302 এবং 201 ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করেছি ৷ তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ গুরপ্রীত নামে একজন অভিযুক্তও গ্রেফতার হয়েছে ৷ অভিযুক্তের কাছ থেকে 1.5 কোটি টাকা উদ্ধার করেছে,যে টাকা সে সম্পত্তি বিক্রি থেকে পেয়েছিল বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত ৷
আরও পড়ুন: মার্কিন-নাগরিককে প্রতারণার অভিযোগ, 7 কোটির ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত সিবিআইয়ের