নয়াদিল্লি, 30 নভেম্বর: পলিগ্রাফ পরীক্ষাতেও (Polygraph Test) নিজের 'অপরাধ কবুল' করেছেন শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে (Shraddha Murder Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aaftab Amin Poonawalla) ৷ সূত্রের দাবি, পলিগ্রাফ পরীক্ষা চলাকালীন আফতাব জানান, তিনিই তাঁর 'প্রেমিকা' শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar) শ্বাসরোধ করে খুন করেন এবং তারপর সেই দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দিল্লি নানা প্রান্তে ফেলে আসেন ৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দিল্লির ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (Forensic Science Laboratory) বা এফএসএল (FSL)-এ আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ সেই সময় নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে আফতাব নিজের দোষ স্বীকার করেছেন বলে দাবি সূত্রের ৷
সব মিলিয়ে মোট ছ'দফায় পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে আফতাবের ৷ সেই প্রক্রিয়া শেষ হয় মঙ্গলবার (29 নভেম্বর, 2022) ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, "আফতাব শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন এবং শ্রদ্ধার দেহখণ্ড তিনি যে দিল্লির নানা প্রান্তে ফেলে এসেছিলেন, তাও মেনে নিয়ে নিয়েছেন ৷ আফতাব জানিয়েছেন, শ্রদ্ধার দেহখণ্ড শহর লাগোয়া জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন তিনি ৷ তাঁর যে একাধিক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, তাও জানিয়েছেন আফতাব ৷"
আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার খুনের পর দুবার গেলেও ঘরে দেহাংশ লুকনো আছে টেরই পাননি আফতাবের নতুন প্রেমিকা !
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) তরফ থেকে এক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ শ্রদ্ধাকে খুন করার পর প্রথম ওই তরুণীই আফতাবের ফ্ল্য়াটে আসেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ৷ পেশায় মনোবিদ ওই তরুণীকে শ্রদ্ধার আংটিও উপহার দিয়েছিলেন আফতাব ৷ সেই আংটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ ৷
ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি মোবাইল ডেটিং অ্য়াপের মাধ্যমে আফতাবের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল ৷ উল্লেখ্য, ওই একই অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গেও পরিচয় হয়েছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ৷ ওই তরুণী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, ছতরপুরে আফতাব ও শ্রদ্ধার যে ফ্ল্য়াটটি রয়েছে, খুনের ঘটনার পর সেখানে দু'বার গিয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, সেই ফ্ল্যাটেরই ফ্রিজের ভিতর যে শ্রদ্ধার দেহ খণ্ড সংরক্ষিত করা রয়েছে, তা একবারের জন্যও বোঝেননি ওই তরুণী ৷ সূত্রের দাবি, গত 18 মে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন আফতাব ৷ তার মাত্র 12 দিনের মাথায় একই ডেটিং অ্য়াপ ব্যবহার করে অন্য তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন তিনি !