নয়াদিল্লি, 14 সেপ্টেম্বর: যোধপুরের জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে ৷ এই বিষয়টি নজরে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের ৷ তার পর এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত ৷ এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ বলেন, "কম করে বললেও, এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং অবাঞ্ছিত ৷"
আদালত গত 12 সেপ্টেম্বর গৃহীত একটি নির্দেশে বলেছিল, “আমরা জানতে পেরেছি যে বর্তমানে একজন উপাচার্যও নেই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে । রেজিস্ট্রারও চুক্তিভিত্তিক ৷ আমরা এটাকে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করি যে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ৷"
শীর্ষ আদালত আরও জানতে পেরেছে যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মে কিছু সংশোধন করা হয়েছে ৷ সেই সংশোধনের পর ঠিক হয় যে 50 শতাংশ স্থায়ী ও 50 শতাংশ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে কাজ চালানো হবে ৷ কিন্তু সেই নিয়মও কার্যকর হয়নি বলে আদালত জানিয়েছে ৷ পাশাপাশি আদালত আরও জানিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুয়ায়ী, কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 10 শতাংশের বেশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী রাখা যায় না ৷
ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী ধ্রুব মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন যে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নয় । তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানকে নামী বলে মনে করা হয়, সেখানে শিক্ষকদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে ৷ কারণ, শিক্ষকরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক ৷
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে রাজস্থান হাইকোর্টের 2019 সালের রায় থেকে উদ্ভুত একটি বিষয়ে শীর্ষ আদালত এই পর্যবেক্ষণগুলি করেছে । এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 31 অক্টোবর ৷
আরও পড়ুন: বইয়ের বিষয়বস্তু বিতর্কে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেলকে রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের