উত্তরকাশী (উত্তরাখণ্ড), 23 এপ্রিল: চারধাম যাত্রা শুরু হতে না হতেই দুঃসংবাদ ৷ শনিবার বিকেলে ঘোড়ায় চেপে যমুনোত্রী ধাম দেখতে যাচ্ছিলেন গুজরাতের এক তীর্থযাত্রী ৷ কিন্তু দুভার্গ্যের কথা, সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি ৷ মৃত যাত্রীর নাম কনক সিং (62)৷ পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷
বলা হচ্ছে ওই যাত্রী হৃদরোগী ছিলেন এবং যাত্রার সময়ই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান ৷ তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় জানকিছট্টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ চলতি বছর যমুনোত্রী ধাম যাত্রাপথে শ্বাসকষ্টে তীর্থযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম ৷ জেলা বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কনক সিং ও তাঁর পুত্র সোবান সিং ঘোড়ায় চড়ে জানকিছট্টি থেকে যমুনোত্রীর ধামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ৷ ভৈরন মন্দিরের কাছে কনক সিং ঘোড়া থেকে নেমে পড়েন। তিনি জানান, ভালোভাবে ঘুম না হওয়ার জন্য তার বুকে ব্যথা হচ্ছে । কথা জানিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাভেল হাসপাতাল জানকিছট্টিতে ৷ সেখানেই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তিনি মারা গিয়েছেন ৷
এই বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক দেবেন্দ্র পাটওয়াল জানান, কনক সিং একজন হৃদরোগী ছিলেন ৷ এত উঁচুতে উঠে শ্বাসকষ্টের কারণে মারা যান তিনি ৷ তাঁর আত্মীয় পরিজনদের খবর দেওয়া হয়েছে ৷ অক্ষয়তৃতীয়া উপলক্ষে বিশ্ববিখ্যাত গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এদিনই মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি গঙ্গোত্রী ধামে পৌঁছন ও নরেন্দ্র মোদির পক্ষে পুজো দেন ৷
তবে তীর্থযাত্রার শুরুতেই এহেন অঘটনকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসেবেও দেখছেন অনেকে ৷ এই দুর্গম ও উঁচু উচ্চতায় যাওয়ার আগে সকল পুণ্যার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ৷ সেখানে সমস্ত বিষয় দেখার পর তবেই অনুমতি মেলে ৷ সেক্ষেত্রে জীবনহানির সম্ভাবনা আছে জেনেও কীভাবে একজন হৃদরোগীকে যমুনোত্রী যাওয়ার অনুমতি দিল প্রশাসন ? এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷
আরও পড়ুন : চারধাম যাত্রা শুরুর আগেই চিন্তার মেঘ, ইসরোর ভূমিধসে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় শীর্ষ 2 উত্তরাখণ্ডের