মাইসোর, 28 সেপ্টেম্বর: কুকুরের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ স্টেশনে আশ্রয় এক হরিণের ৷ বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মাইসোর জেলার নানজানগুড় এলাকায় ৷ আহত হরিণটিকে তৎক্ষনাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
আর পাঁচটা দিনের মতো, বুধবার কর্মব্যস্ত সকালে সকলেই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন ৷ কিন্তু আচমকাই রাস্তায় একটি হরিণকে ভীত অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয়রা ৷ হরিণটি যে পথ হারিয়েছে, তা বুঝে যান এলাকার বাসিন্দারা ৷ একদিকে একাধিক গাড়ির চলাচল অন্যদিকে রাস্তার কুকুরের তাড়া ও আক্রমণ ৷ তাতে আরও ভীত হয়ে পড়ে আহত হরিণটি ৷ তারপরেই হরিণটি কুকুরের ভয়ে নানজুন্ডেশ্বর মন্দিরের সামনে ব্যারিকেড টপকে সোজা ঢুকে পড়ে সামনে থাকা পুলিশ স্টেশনের ভিতরে ৷
আচমকা থানার ভিতর হরিণ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরাও ৷ তাঁরা দেখতে পান হরিণের গলার তিন-চার জায়গায় কুকুরের কাঁমড়ে রক্ত বেরোচ্ছে সেই জায়গা থেকে ৷ সঙ্গে সঙ্গে হরিণটির থানাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় ৷ আহত জায়গায় পুলিশ আধিকারিকরা হলুদ দিয়ে দেন ৷ তার ফলে সেখান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয় ৷ খবর দেওয়া হয় পশু চিকিৎসক ও বন দফতরকে ৷
আরও পড়ুন: বাগেশ্বর গবেষণা কেন্দ্রে 20 দিনে 5টি কস্তুরী হরিণের মৃ্ত্যু
পশু চিকিৎসক শরণবাসাপ্পা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল 11টা নাগাদ শ্রীকান্তেশ্বর মন্দিরের কাছে একটি হরিণ পাওয়া যায় ৷ যাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বনরক্ষীরা মিলে হরিণটিকে ধরে পশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। আহত দেড় বছরের পুরুষ হরিণের চিকিৎসা করা হয়েছে। বনকর্মীদের আগামী 7 দিন হরিণটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।