হারদা (মধ্যপ্রদেশ), 3 ডিসেম্বর : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধি ৷ তিনি জাতির জনক (father of the nation) ৷ সত্য এবং অহিংসার নীতি (principles of truth and non-violence) অবলম্বন করে দেশকে স্বাধীন করতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহাত্মা গান্ধি ৷ মধ্যপ্রদেশের হারদা শহরে (Harda) অন্যদের মতো সৌকল পরিবারও (family of Sokals) স্বাধীনতা সংগ্রামে (Independence Movement) অংশ নিয়েছিল ৷ আর এই পরিবার প্রথম সারিতে ছিল ৷
আজও প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার 1933-এ গান্ধিজির স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন ৷ তাঁর দুই মেয়ের (His two daughters now in their 80s and 90s) বয়স এখন 80 আর 90-র ঘরে ৷ হরিজনদের উন্নয়নের জন্য (Harijan welfare) প্রচারে গিয়ে গান্ধিজি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন, সেই কথা তাঁদের আজও মনে আছে ৷
ইটিভি ভারতের (ETV Bharat) প্রতিনিধিকে তাঁরা জানালেন, আশপাশের গ্রাম থেকে বিশাল সংখ্যক মানুষ হাদরা শহরে এসেছিলেন ৷ রাস্তার দু'ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বাপুর মাথায় ফুল বর্ষণ করে তাঁকে স্বাগত জানান (welcomed Bapu by showering flowers on him) ৷ গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করার জন্য সবাই ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, এতে গান্ধিজি খুবই প্রভাবিত হয়েছিলেন ৷ জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি জানান, তিনি এরকম শৃঙ্খলাপরায়ণতা আরও কোথাও কখনও দেখেননি ৷ গান্ধিজি হারদাকে 'হৃদয়ের শহর' (the city of heart) নাম দিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন : Independence Special : অসহযোগ আন্দোলনের সন্ধিক্ষণে জন্ম, শতবর্ষ পরও বিপ্লবের প্রতীক জামিয়া মিলিয়া
হারদার মানুষ গান্ধিজিকে ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়েছিলেন (a bag full of money) ৷ তাঁরা 1 হাজার 633 টাকা এবং 15 আনা সংগ্রহ করেছিলেন ৷ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই টাকা বিশাল অঙ্কের ছিল ৷ হরিজন সেবক (Harijan Sevak) নামক একটি সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, গান্ধিজির সফরে এটাই হয়তো সবচেয়ে বেশি সংগৃহীত অর্থ ৷
গান্ধিজির হারদায় আসা সেই অমূল্য স্মৃতির কথা মনে করে স্বাধীনতা সংগ্রামী চম্পালাল শঙ্করের মেয়ে জানালেন, গান্ধিজিকে একটি রুপোর ট্রে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় ওই ট্রেটি নিলামে উঠেছিল (a silver tray was also presented to Gandhi which was auctioned) ৷ তুলসীরাম সৌকল (Tulsiram Sokal) নিলামে ওই ট্রেটি 101 টাকায় কিনে নেন ৷ এখনও বহুমূল্য সম্পদ হিসেবে ওই বিশেষ ট্রেটি সংরক্ষিত রয়েছে সৌকল বোনেদের (Sokal sisters) কাছে ৷
বাবার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে মেয়ে সরলা সৌকল (Sarla Sokal) প্রায় এক হাজার বই দান করে দিয়েছেন গুজরাতের সবরমতী আশ্রমে (Sabarmati Ashram in Gujarat) ৷ মহাত্মা গান্ধির আদর্শ, বাণী ছড়িয়ে দিতে বই দেওয়া ছাড়াও একটি চরকাও আশ্রমে দিয়েছেন তিনি ৷