ETV Bharat / bharat

75 Years of Independence : হারদায় গান্ধিজির রুপোর ট্রে আজও রয়েছে সৌকল বোনেদের কাছে

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী চম্পালাল শঙ্কর (freedom fighter Champalal Shankar) এবং তাঁর বাবা তুলসীরাম সৌকল (Tulsiram Sokal) ৷ হারদায় (Harda) বহু পরিবার স্বাধীনতা আন্দোলনের (Independence Movement) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে সৌকল পরিবার গান্ধিজির খুব কাছের ছিল ৷ এর কারণ, 1933 সালে 8 ডিসেম্বর গান্ধিজি যখন হারদায় যান, সে সময় হারদার সৌকল পরিবার (family of Sokals) বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান দিয়েছিল ৷

Sokal sisters
সৌকল বোনেরা
author img

By

Published : Dec 4, 2021, 6:09 AM IST

হারদা (মধ্যপ্রদেশ), 3 ডিসেম্বর : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধি ৷ তিনি জাতির জনক (father of the nation) ৷ সত্য এবং অহিংসার নীতি (principles of truth and non-violence) অবলম্বন করে দেশকে স্বাধীন করতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহাত্মা গান্ধি ৷ মধ্যপ্রদেশের হারদা শহরে (Harda) অন্যদের মতো সৌকল পরিবারও (family of Sokals) স্বাধীনতা সংগ্রামে (Independence Movement) অংশ নিয়েছিল ৷ আর এই পরিবার প্রথম সারিতে ছিল ৷

আজও প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার 1933-এ গান্ধিজির স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন ৷ তাঁর দুই মেয়ের (His two daughters now in their 80s and 90s) বয়স এখন 80 আর 90-র ঘরে ৷ হরিজনদের উন্নয়নের জন্য (Harijan welfare) প্রচারে গিয়ে গান্ধিজি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন, সেই কথা তাঁদের আজও মনে আছে ৷

ইটিভি ভারতের (ETV Bharat) প্রতিনিধিকে তাঁরা জানালেন, আশপাশের গ্রাম থেকে বিশাল সংখ্যক মানুষ হাদরা শহরে এসেছিলেন ৷ রাস্তার দু'ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বাপুর মাথায় ফুল বর্ষণ করে তাঁকে স্বাগত জানান (welcomed Bapu by showering flowers on him) ৷ গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করার জন্য সবাই ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, এতে গান্ধিজি খুবই প্রভাবিত হয়েছিলেন ৷ জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি জানান, তিনি এরকম শৃঙ্খলাপরায়ণতা আরও কোথাও কখনও দেখেননি ৷ গান্ধিজি হারদাকে 'হৃদয়ের শহর' (the city of heart) নাম দিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : অসহযোগ আন্দোলনের সন্ধিক্ষণে জন্ম, শতবর্ষ পরও বিপ্লবের প্রতীক জামিয়া মিলিয়া

হারদার মানুষ গান্ধিজিকে ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়েছিলেন (a bag full of money) ৷ তাঁরা 1 হাজার 633 টাকা এবং 15 আনা সংগ্রহ করেছিলেন ৷ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই টাকা বিশাল অঙ্কের ছিল ৷ হরিজন সেবক (Harijan Sevak) নামক একটি সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, গান্ধিজির সফরে এটাই হয়তো সবচেয়ে বেশি সংগৃহীত অর্থ ৷

গান্ধিজির হারদায় আসা সেই অমূল্য স্মৃতির কথা মনে করে স্বাধীনতা সংগ্রামী চম্পালাল শঙ্করের মেয়ে জানালেন, গান্ধিজিকে একটি রুপোর ট্রে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় ওই ট্রেটি নিলামে উঠেছিল (a silver tray was also presented to Gandhi which was auctioned) ৷ তুলসীরাম সৌকল (Tulsiram Sokal) নিলামে ওই ট্রেটি 101 টাকায় কিনে নেন ৷ এখনও বহুমূল্য সম্পদ হিসেবে ওই বিশেষ ট্রেটি সংরক্ষিত রয়েছে সৌকল বোনেদের (Sokal sisters) কাছে ৷

হারদায় গান্ধিজির রুপোর ট্রে আজও রয়েছে সৌকল বোনেদের কাছে

আরও পড়ুন : Independence Special : ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে রানি লক্ষ্মীবাইকে গোয়ালিরের সম্পদ দিয়েছিলেন কোষাধ্যক্ষ অমর চন্দ্র বাঠিয়া

বাবার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে মেয়ে সরলা সৌকল (Sarla Sokal) প্রায় এক হাজার বই দান করে দিয়েছেন গুজরাতের সবরমতী আশ্রমে (Sabarmati Ashram in Gujarat) ৷ মহাত্মা গান্ধির আদর্শ, বাণী ছড়িয়ে দিতে বই দেওয়া ছাড়াও একটি চরকাও আশ্রমে দিয়েছেন তিনি ৷

হারদা (মধ্যপ্রদেশ), 3 ডিসেম্বর : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধি ৷ তিনি জাতির জনক (father of the nation) ৷ সত্য এবং অহিংসার নীতি (principles of truth and non-violence) অবলম্বন করে দেশকে স্বাধীন করতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহাত্মা গান্ধি ৷ মধ্যপ্রদেশের হারদা শহরে (Harda) অন্যদের মতো সৌকল পরিবারও (family of Sokals) স্বাধীনতা সংগ্রামে (Independence Movement) অংশ নিয়েছিল ৷ আর এই পরিবার প্রথম সারিতে ছিল ৷

আজও প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার 1933-এ গান্ধিজির স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন ৷ তাঁর দুই মেয়ের (His two daughters now in their 80s and 90s) বয়স এখন 80 আর 90-র ঘরে ৷ হরিজনদের উন্নয়নের জন্য (Harijan welfare) প্রচারে গিয়ে গান্ধিজি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন, সেই কথা তাঁদের আজও মনে আছে ৷

ইটিভি ভারতের (ETV Bharat) প্রতিনিধিকে তাঁরা জানালেন, আশপাশের গ্রাম থেকে বিশাল সংখ্যক মানুষ হাদরা শহরে এসেছিলেন ৷ রাস্তার দু'ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বাপুর মাথায় ফুল বর্ষণ করে তাঁকে স্বাগত জানান (welcomed Bapu by showering flowers on him) ৷ গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করার জন্য সবাই ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, এতে গান্ধিজি খুবই প্রভাবিত হয়েছিলেন ৷ জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি জানান, তিনি এরকম শৃঙ্খলাপরায়ণতা আরও কোথাও কখনও দেখেননি ৷ গান্ধিজি হারদাকে 'হৃদয়ের শহর' (the city of heart) নাম দিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : অসহযোগ আন্দোলনের সন্ধিক্ষণে জন্ম, শতবর্ষ পরও বিপ্লবের প্রতীক জামিয়া মিলিয়া

হারদার মানুষ গান্ধিজিকে ব্যাগ ভর্তি টাকা দিয়েছিলেন (a bag full of money) ৷ তাঁরা 1 হাজার 633 টাকা এবং 15 আনা সংগ্রহ করেছিলেন ৷ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই টাকা বিশাল অঙ্কের ছিল ৷ হরিজন সেবক (Harijan Sevak) নামক একটি সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, গান্ধিজির সফরে এটাই হয়তো সবচেয়ে বেশি সংগৃহীত অর্থ ৷

গান্ধিজির হারদায় আসা সেই অমূল্য স্মৃতির কথা মনে করে স্বাধীনতা সংগ্রামী চম্পালাল শঙ্করের মেয়ে জানালেন, গান্ধিজিকে একটি রুপোর ট্রে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় ওই ট্রেটি নিলামে উঠেছিল (a silver tray was also presented to Gandhi which was auctioned) ৷ তুলসীরাম সৌকল (Tulsiram Sokal) নিলামে ওই ট্রেটি 101 টাকায় কিনে নেন ৷ এখনও বহুমূল্য সম্পদ হিসেবে ওই বিশেষ ট্রেটি সংরক্ষিত রয়েছে সৌকল বোনেদের (Sokal sisters) কাছে ৷

হারদায় গান্ধিজির রুপোর ট্রে আজও রয়েছে সৌকল বোনেদের কাছে

আরও পড়ুন : Independence Special : ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে রানি লক্ষ্মীবাইকে গোয়ালিরের সম্পদ দিয়েছিলেন কোষাধ্যক্ষ অমর চন্দ্র বাঠিয়া

বাবার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে মেয়ে সরলা সৌকল (Sarla Sokal) প্রায় এক হাজার বই দান করে দিয়েছেন গুজরাতের সবরমতী আশ্রমে (Sabarmati Ashram in Gujarat) ৷ মহাত্মা গান্ধির আদর্শ, বাণী ছড়িয়ে দিতে বই দেওয়া ছাড়াও একটি চরকাও আশ্রমে দিয়েছেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.