হাপুর (উত্তরপ্রদেশ), 31 ডিসেম্বর: কয়েকদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের সঞ্চার করেছিলএকটি চিতাবাঘ ৷ আতঙ্কে দিন কাটছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ শেষমেশ উত্তরপ্রদেশের হাপুরের অন্তর্গত কাপুরপুর থানা এলাকার পারপা গ্রামের মাঠে প্রথম দেখা যায় চিতাবাঘটিকে ৷ শনিবার কাপুরপুর এলাকায় দীর্ঘ অভিযানের পর 70 কেজি ওজনের ওই চিতাবাঘটি ধরা পড়ে। বন দফতরের পাতা জালে গতকাল চিতাবাঘটি ধরা দেয় ৷
70 কেজি ওজনের এই চিতাবাঘকে খুঁজে বের করা ও তাকে উদ্ধার করা বন দফতরের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছিল ৷ চিতাবাঘটি মাঝে মাঝে এলাকায় দেখা গেলেও কর্তৃপক্ষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল। অবশেষে, কঠোর পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায় গতকাল ৷ গতকাল বন দফতর চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করায় গ্রামবাসীরা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। গ্রামবাসীদের তরফে জানা যায়, চিতাবাঘটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল। তার দাপাদাপিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায় ৷ তাঁরা প্রার্থনা করছিলেন যে কোনও উপায়ে চিতাবাঘটিকে যেন ধরা যায় ৷ তাঁরা আরও জানান, চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখা যায় কাপুরপুর থানা এলাকার পারপা গ্রামের মাঠে।
এরপরই বাসিন্দারা বন দফতরকে খবর দেন। জন্তুটিকে ধরার জন্য অনেক জাল পাতা হয় ৷ কিন্তু চিতাবাঘটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে যেত বারবারই। বন দফতেরর আধিকারিকরা গতকাল তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে ৷ আর তারপরই 70 ওজনের ওই চিতাবাঘটি ধরা পড়ে যায় ৷ বন দফতেরর আধিকারিক মুকেশ বলেন, "আমারা চিতাবাঘটিকে ধরতে একটি দল গঠন করি । তারপর এই জায়গায় এলে ওর পায়ের ছাপ দেখতে পাই ৷ পারপা গ্রামের পাশে থাকা আরও কয়েকটি জায়গায় ফাঁদ পাতা হয় ৷ তাতেই ধরা পড়ে যায় চিতাবাঘটি।" তবে ওই এলাকায় এখনও বন দফতরের একটি দলটি অবিরাম টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: