বারাবাঙ্কি (উত্তরপ্রদেশ), 27 জুলাই: বন্ধুর বাড়ি খেলতে এসে তার বাবার লালসার শিকার হল 5 বছরের শিশু ৷ তাকে আখ খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর শিশুকে সেখানেই ফেলে রাখা হয় ৷ 40 বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । জেরার মুখে নিজের কৃত কর্মের কথা স্বীকারও করে সে । শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি মঙ্গলবার তার পাশের বাড়ির আর এক শিশুর সঙ্গে মাঠে খেলতে গিয়েছিল ৷ কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরে না ৷ এরপরেই পরিবারের লোক তার খোঁজ করতে শুরু করে ৷ তারপরে প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে পরিবার শিশুটির খোঁজ চালায় ৷ কিন্তু এরপরেও তাকে খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় শেষমেশ তারা থানার দ্বারস্থ হয় ৷ এরপর নাবালিকার খোঁজে নামে রামপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরাও ৷ তবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও মেয়েটিকে খোঁজ পাওয়া যায়নি ।
পরে মেয়েটির সঙ্গে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ তখন 5 বছর বয়সি ওই শিশু জানায়, তার বাবা নাবালিকাকে তুলে নিয়ে আখ ক্ষেতের দিকে গিয়েছে ৷ এরপরেই ছেলেটির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তখন তিনি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন ৷ তিনি পুলিশকে জানান, মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে এসেছেন ৷ তবে ভাগ্যবশত পুলিশ সঠিক সময়ে পৌঁছে জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রেদেশে ছাত্রীকে গণধর্ষণ! গ্রেফতার বিজেপি নেতা-সহ 2
দ্রুত তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পরে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ৷ বারাবাঙ্কি (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আশুতোষ মিশ্র বলেছেন, "অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা 376 (ধর্ষণ) এবং পকসো আইনের ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ এরপরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে সে যৌন নির্যাতন করে মেয়েটিকে এবং সেসময় নাবালিকা অজ্ঞান হয়ে পড়ায় তাকে মরার জন্য ফেলে রেখে আসে সে ।"