আমেদাবাদ, 26 ডিসেম্বর: গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের একটি মাছ ধরার নৌকায় অভিযান চালিয়ে 300 কোটির মাদক ও বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী ৷ জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ওই নৌকাটির নাম আল সোহেলি (Pakistani fishing boat) ৷ রবিবার মধ্যরাতে আন্তর্জাতিক জল সীমান্তে এই অভিযান চালানো হয় (40 kgs of narcotics along with arms seized by Coast Guard) ৷
জানা গিয়েছে, গুজরাত পুলিশের এটিএসের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড ৷ বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় 40 কেজি মাদক ৷ যেগুলির বাজার মূল্য প্রায় 300 কোটি টাকা ৷ একই সঙ্গে ওই নৌকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে (Pakistani fishing boat carrying arms) ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে ওই নৌকায় থাকা 10 জন নাবিককেও (Pakistani fishing boat) ৷
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের জল সীমানায় রবিবার গভীর রাতে ওই পাকিস্তানি নৌকাটিকে সন্দেহজনকভাবে ভাসতে দেখা যায় ৷ কোস্ট গার্ডের (Indian Coast Guard) টহলদারি জাহাজ আইসিজিএস অরিনজয় থেকে নৌকটিকে থামতে বলা হয় ৷ কিন্তু তার পরেও ওই নৌকাটি থেকে উপযুক্ত সাড়া না পেয়ে উপকূল রক্ষীবাহিনীর জওয়ানরা সেখানে যান ৷
আরও পড়ুন: অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গুজরাতে খুন বিএসএফ জওয়ান
জানা গিয়েছে পাকিস্তানের ওই নৌকাটিকে গুজরাতের ওখা বন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ সেখানেই ওই 10 নৌকা সওয়ারিকে জেরা করা হবে ৷ গত 18 মাসে এই নিয়ে 7টি যৌথ অভিযান চালাল কোস্ট গার্ড ও গুজরাত পুলিশের এটিএস ৷ কিন্তু এবারের অভিযানেই প্রথম এত বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পড়ল (arms seized by Coast Guard near maritime border) ৷
কোস্ট গার্ডের তরফে জানানো হয়েছে, গত 18 মাসে অভিযান চালিয়ে মোট 346 কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ ধরা পড়েছে 44 জন পাকিস্তানি ও ইরানের বাসিন্দা ৷ মনে করা হচ্ছে ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে ৷ উল্লেখ্য, 2008 সালের 26 নভেম্বর মুম্বই শহরে যে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও মাছ ধরারার নৌকা করেই আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা ৷ সঙ্গে এনেছিল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ পরবর্তীতে 26/11 মুম্বই হামলার ঘটনায় পাক যোগের প্রমাণ মেলে ৷ ওই ঘটনার পর থেকেই কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে জলসীমান্তে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি ৷