নয়াদিল্লি, 17 অগস্ট: মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ আর দিল্লি বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জেরে চার জন বিজেপি বিধায়ককে মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ৷ অন্যদিকে, মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মোদিকে আক্রমণ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "মানুষ রোজ প্রধানমন্ত্রীকে মনে করেন না ৷ যখন সব সিস্টেম ব্যর্থ হয় তখন মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ডাকেন ৷ আর প্রধানমন্ত্রী সব দেখেও মুখ ঘুরিয়ে রাখছেন ৷ কোথায় যাবে ওই মেয়েরা ?"
বৃহস্পতিবার দিল্লি বিধানসভায় মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করে সরকার পক্ষ ৷ আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক উত্তর-পূর্ব রাজ্যের হিংসা নিয়ে আলোচনা শুরু করার পরই হাউসে বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে ৷ আপ-এর পালটা বিজেপি জানায়, দিল্লি সম্পর্কিত বিষয়গুলি হাউসে বিতর্ক করা উচিত । যা নিয়ে তীব্র হট্টগোল বেঁধে যায় বিধানসভায় ৷ বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লা বলেন, "বিজেপি বিধায়করা মনে করেন মণিপুরের ঘটনা বিধানসভায় আলোচনা করার মতো বিষয় নয়? উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাতেও মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ।"
এরপরও অবশ্য বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার ভিতরে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন ৷ এরপরই অভয় ভার্মা, জিতেন্দর মহাজন, অজয় মহাওয়ার এবং ওপি শর্মা মোট চার বিজেপি বিধায়ককে হাউস থেকে মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । হট্টগোল ছড়িয়ে পড়ার পরই আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক জানান, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিজেপি এই বিষয়ে আলোচনা চায় না । সেই সঙ্গে, পাঠকের নেতৃত্বে আপ বিধায়করাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিধানসভায় পালটা স্লোগান দিতে থাকেন ।
আরও পড়ুন: অমিত শাহর বাসভবনে জরুরি বৈঠক, আজ দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ
অন্যদিকে, এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "বিজেপি বিধায়করা স্পষ্টভাবে বলছেন যে মণিপুরের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই । এটা প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা যে মণিপুরের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই । মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নীরব । ছয় হাজার 500টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, 150 জনের বেশি নিহত হয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নীরব ৷ নারীদের সম্মান লুঠ করা হচ্ছে প্রকাশ্যে অথচ প্রধানমন্ত্রী নীরব ৷"