কাশ্মীর উপত্যকা (জম্মু ও কাশ্মীর), 4 ফেব্রুয়ারি: দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাশাপাশি, কাশ্মীর উপত্যকায় পড়াশোনার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে ভুগছেন ৷ ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (National Council of Educational Research and Training) বা এনসিইআরটি-র একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে ৷ কাশ্মীর উপত্যকায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত 2 লক্ষ মেয়ে ও 2 লক্ষ ছেলের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয় ৷
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রতিদিন উপত্যকার 10 শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা বা পরীক্ষার কারণে মানসিক চাপে (Mental Stress) ভুগছেন । কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষার সময় এই সংখ্যা ছাত্র ও ছাত্রী উভয়দের ক্ষেত্রেই 30 শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায় । তবে মানসিক রোগে আক্রান্তদের বেশির ভাগই মেয়ে । ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা পড়াশোনার চাপের কারণে ছেলেদের তুলনায় বেশি উদ্বিগ্ন থাকে ৷ আর মানসিক চাপ থাকে ।
ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, কাশ্মীর উপত্যকার 12.25 শতাংশ মেয়ে পড়াশোনা এবং পরীক্ষার কারণে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের শিকার হয় ৷ তার নিরিখে মানসিক চাপে ভোগা ছেলেদের সংখ্যা 9.98 শতাংশ । সমীক্ষায় অংশ নেওয়া 81.1 শতাংশ মেয়ে স্বীকার করেছে যে তারা কখনও না কখনও পড়াশোনা ও পরীক্ষার কারণে মানসিক চাপ ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছেন ৷ অন্যদিকে 77.7 শতাংশ ছেলেরাও স্বীকার করেছে যে তারা পড়াশোনার কারণে মানসিক চাপে ভুগেছেন ৷
মনোবিদদের মতে, পড়াশোনার চেয়ে পরীক্ষার সময় মানসিক চাপে বেশি ভোগার কারণ রেজাল্টের ভয় ৷ তাই রেজাল্টের সময় যত এগিয়ে আসে, ততই উদ্বেগ বাড়তে থাকে পরীক্ষার্থীদের ৷ পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও অনেকে অংশ নেয় ৷ সেই কারণেও মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়ে ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমবিবিএসের (MBBS) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীও মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগেন ৷ কারণ, সব শিক্ষার্থীই ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে চায় । মনোবিদরা জানিয়েছেন, বার্ষিক পরীক্ষার সময় কাউন্সেলিং-এর জন্য তাঁদের কাছে যারা যায়, তাদের মধ্যে 30 শতাংশ পড়ুয়া পড়াশোনা বা পরীক্ষা সংক্রান্ত চাপ অনুভব করে ৷ এদের মধ্যে 20 শতাংশ মেয়ে ও 10 শতাংশ ছেলে রয়েছে ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের : পোখরিয়াল