কুলু, 27 জানুয়ারি: লাহৌল স্পিতির মানালি-লেহ হাইওয়েতে ঘুরতে দেখা গেল তিনটি তুষার চিতাবাঘকে ৷ কেলং-এ বসবাসকারী সোনম জাংপো সেই ভিডিয়ো বন্দি করেছেন ক্যামেরায় (Snow Leopard in Kullu)৷ সেই ভিডিয়োতে মুলিং ব্রিজের কাছে মাঝরাস্তায় 3টি তুষার চিতাকে দৌড়তে দেখা যাচ্ছে ৷ লাহৌল স্পিতি এখন বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে ৷
এই বিষয়ে সোনম জাংপো জানান, রাতে ট্যাক্সি করে তিনি মানালি থেকে কেলং আসছিলেন ৷ হঠাৎ তাঁর গাড়ির সামনে 3টি তুষার চিতা এসে পড়ে ৷ সেই মুহূর্তে তিনি একটি ভিডিয়ো করেন ৷ গাড়ির আলো জ্বলে উঠতেই ওই তিন চিতা রাস্তায় ছুটতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণ পর বরফ ও অন্ধকারে তারা অদৃশ্য হয়ে যায় ৷
তবে মুলিং ব্রিজ ও চুরপুক পেট্রল পাম্পের মধ্যে প্রায়ই তুষার চিতা দেখা যায় বলে জানান তিনি ৷ তাঁর কথায়, "রাতে এখানে আসা লোকজনকে সতর্ক থাকতে হবে ৷ এই চিতাদের এখানে প্রায়ই দেখা যায় ৷ এই সময় লাহৌল উপত্যকার পরিবেশ তুষার চিতাদের জন্য সেরা আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে ৷ এর আগেও এই উপত্যকায় শাবক-সহ তুষার চিতা ক্যামেরাবন্দি করেছে স্থানীয় লোকজন ৷"
আরও পড়ুন : রুদ্রপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ, পুরু বরফের চাদরে মুড়ল উত্তর ভারত
তুষার চিতা হিমাচলের রাষ্ট্রীয় প্রাণী ৷ তুষারঢাকা চূড়ায় তাদের বাস ৷ যদিও তুষার চিতা এখন খুব কমই দেখা যায় ৷ কিন্তু আজকাল হিমাচলে এবং চাম্বা থেকে লাহৌল স্পিতি পর্যন্ত সর্বত্র প্রবল তুষারপাতের জেরে চিতা দেখা দেয় ৷ চাম্বা, লাহৌল বা কিন্নরের মতো তুষারময় পর্বত তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ৷ তথ্য অনুযায়ী, হিমাচলের প্রায় 23 হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় তুষার চিতাবাঘের বিচরণ দেখা গিয়েছে ৷ এর মধ্যে ধৌলাধর, কুলু, চাম্বা, কিন্নর এবং লাহৌল স্পিতি অঞ্চলগুলি প্রধানত পড়ে ৷
ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে তুষার চিতা গণনা করা হয় ৷ হিমাচল হল দেশের প্রথম রাজ্য যেটি তুষার চিতাবাঘের সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া করে ৷ তথ্য অনুসারে জানা যায়, হিমাচলে 73টি তুষার চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ এর মধ্যে বেশিরভাগই এই লাহৌল স্পিতিতে রয়েছে, যা শীতকালে তুষার মরুভূমিতে পরিণত হয় ৷
আরও পড়ুন : বরফের চাদরে ঢাকা সিমলা, ঠান্ডা বাড়তেই হিমাচলমুখী পর্যটকরা