চেন্নাই, 4 ডিসেম্বর: ঘূর্ণিঝড়ের মিগজাউমের প্রভাবে তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টির জেরে ভাসছে একাধিক জায়গা ৷ সূত্রের খবর একাধিক গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। চেন্নাইয়ের রাস্তাঘাট জলে ডুবে গিয়েছে। চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়ে দেখে মনে হবে ছোট নদী তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ তাই 23টি বিমান বাতিল করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি 32টি কয়েকটি বিমান দেরিতে ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে ৷
সোশাল মিডিয়ায় সামনে আসা নানা ভিডিয়ো থেকে দেখা যাচ্ছে, শুধু রাজধানী চেন্নাই নয় তামিলনাড়ুর নানা প্রান্তে একাধিক রাস্তা জলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে রাস্তাঘাটে দাঁড় করানো যানবাহন ৷ ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সোমবার সকালে চেন্নাইয়ের পূর্ব উপকূল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই চেন্নাই, চেঙ্গালপেট, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর-সহ একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামিকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মিগজাউমের প্রভাবে বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। ব্যাহত বিমান চলাচলও। ইতিমধ্যেই 23টি বিমান বাতিল করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি 32টি কয়েকটি বিমান দেরিতে ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই দুই রাজ্য (তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ) শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দমকা হাওয়া। বিমান সংস্থার তরফে যাত্রীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে বিমানের পিছিয়ে যাওয়া সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএমএসে বিমানের স্ট্যাটাস দেখে তবেই যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার অনুরোধ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল দক্ষিণ ভারতে, এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: