পটনা, 17 এপ্রিল: বিষমদ-কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে 4 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যে ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, "আমরা মদের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি ৷ কিন্তু তার পরেও এরকম ঘটনা ঘটছে ৷ তা খুবই দুঃখজনক । আমরা ভেবেছি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করব । 2016 সাল থেকে যারা বিষমদ পান করার কারণে মারা গিয়েছেন তাদের সকলের পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হবে । এই টাকা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ।"
বিহারে ফের বিষমদ আতঙ্ক ৷ মতিহারীতে বিষমদ পান করে প্রাণ গিয়েছে 22 জনের ৷ এঁদের মধ্যে 6 জনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে 15 জনের। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে 70 জন মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। একইসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে 2 পুলিশ অফিসার ও 9 চৌকিদারকে । মৃত্যুর কারণ বিষমদ, বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা নিশ্চিত করেছেন এসপি কান্তেশ কুমার মিশ্র ৷
ময়নাতদন্ত ছাড়াই অনেক দেহের শেষকৃত্য: প্রশাসন প্রাথমিকভাবে বিষমদ কাণ্ডে মাত্র 6 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল । কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকে মৃত্যুসংখ্যা ৷ যা বর্তমানে 22 ছুঁয়েছে ৷ সেখানে প্রশাসনের ভয়ে অনেকের শেষকৃত্য চুপিসারে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার তদন্তে পটনা থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল মতিহারীতে পৌঁছেছে। দলে সিআইডি, প্রোডাক্ট অ্যান্ড প্রহিবিশন এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তিনজন রয়েছেন । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে তদন্তকারী দলটি সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে ৷ পরবর্তীতে দোষীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
পুলিশ 22 জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে: স্থানীয় মানুষদের আশংকা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে । কারণ গুরুতর অবস্থায় অনেকেরই বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা হচ্ছে । হরসিদ্ধি থানা এলাকা থেকে মানুষের মৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ যা শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল ৷ এবার তা বেড়ে 22 হল । প্রথমত, হরসিদ্ধির মঠ লোহিয়ারে চার ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে বাবা ও ছেলের। পুলিশের তরফে 22 জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে।
বিষ মদ পান করে যারা প্রাণ হারিয়েছেন: মৃতদের মধ্যে তুরকাউলিয়া থানা এলাকার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ধ্রুপ পাসোয়ান (48), অশোক পাসোয়ান (44), রামেশ্বর রাম (35), পিতা মহেন্দ্র রাম, ছোটু কুমার (19), বিদেশ্বরী পাসওয়ান, জোখু সিং (50), অভিষেক যাদব (22), গোখুলা, জসিনপুর, ধ্রুব যাদব (23) জসিনপুর, ম্যানেজার সাহনি (32), বাবা গণেশ পাসওয়ান (মথুরাপুর থানা), লক্ষ্মণ মাঞ্জি (22)। , নরেশ পাসওয়ান (24) তুরকাউলিয়া, মাধবপুর থানার মনোহর যাদব, সীতা যাদবের বাবা, তুরকাউলিয়া হরসিদ্ধি থানা এলাকার সোনা লাল প্যাটেল (48), থানা হরসিদ্ধি ধোয়াই নানকার এলাকার পরমেন্দ্র দাস (মঠ লোহিয়ার), নবল দাস (মঠ লোহিয়ার), পাহাড়পুর থানার মৃত ভুটান মাঞ্জি, বালুয়া থানার পাহাড়পুর ৷ বিট্টু রাম, বালুয়া থানার পুলিশ । টুনটুন সিং, বালুয়া থানা পাহাড়পুর ।
আরও পড়ুন: মদ খেলে মরবে, কোনও আর্থিক সাহায্য নয়; বিষমদ-কাণ্ডে মন্তব্য নীতীশের