গান্ধিনগর, 24 মার্চ : অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও গুজরাতে প্রতিদিন 18টিরও বেশি সদ্যোজাতের মৃত্য়ু হয় তাদের জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৷ এই পরিসংখ্যান গত দু’বছররের ৷ ভোটের যখন আর বছর দু’য়েকও বাকি নেই, ঠিক তখনই বিজয় রূপানির নেতৃত্বাধীন সরকারের এই তথ্যপ্রকাশ তাদের সমস্যা বাড়াতে পারে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷ তবে গত দু’বছরে দ্বারকা, বোটাড, আনন্দ, আরাবল্লি এবং মাহিসাগরে একটিও সদ্যোজাতের প্রাণ যায়নি ৷
গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়কদের প্রশ্ন ছিল, গত দু’বছরে সিক নিউবর্ন ইউনিটে সদ্য়োজাতদের ভর্তির সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে কেন ? এদের মধ্যে ক’জনের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে এবং ক’জনের চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতালে করা হয়েছিল, তাও জানতে চান কংগ্রেসী বিধায়করা ৷
যার জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালের সিক নিউবর্ন ইউনিটে ভর্তি করতে হয়েছে 69 হাজার 314টি সদ্যোজাত শিশুকে ৷ আর বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ছিল 38 হাজার 561 ৷
আরও পড়ুন : মা ও সন্তানকে একসঙ্গে রাখা হলে 1 লাখ 25 হাজারের বেশি প্রাণ বাঁচবে : হু
পাঁচমহল জেলায় যে সদ্যোজাতদের সিক নিউবর্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে 79 শতাংশেরই জন্ম হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালে ৷ মোট সংখ্যাটা ছিল 1 হাজার 892 ৷ তার মধ্যে 1 হাজার 493টি শিশুর বেসরকারি হাসপাতালে এবং 399টি শিশুর সরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় ৷
সবথেকে বেশি সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে রাজকোটে ৷ সদ্যোজাতদের প্রায় 18 শতাংশকেই বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা ৷ যে 10 হাজার 623টি শিশুকে সিক নিউবর্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে 1 হাজার 834টি শিশুরই মৃত্য়ু হয় ৷ প্রসঙ্গত, রাজকোট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসেছেন বিজয় ৷ তাই সদ্য়োজাতদের এই মৃত্য়ু পরিসংখ্যান তাঁর রক্তচাপ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ৷