চণ্ডীগড়, 26 সেপ্টেম্বর : পুরনোদের ছেঁটে ফেলে মন্ত্রিসভায় নয়া মুখ আনলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi) ৷ রবিবার নয়া মন্ত্রিসভায় নতুন করে ছয় বিধায়ককে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা 15 ৷ এদিকে আর কয়েক মাস পরই বিধানসভার ভোট রয়েছে রাজ্যে ৷ তার আগে মন্ত্রিসভার রদবদলে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক ৷ সূত্রের খবর, যাঁদের হাত থেকে এদিন মন্ত্রিত্ব গিয়েছে, তাঁদের কেউই বিষয়টি ভালভাবে নেননি ৷ উপরন্তু, এর আগে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় যে মন্ত্রীকে পদ খোয়াতে হয়েছিল, এদিন তাঁকেই ফের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে ৷
আরও পড়ুন : Charanjit Singh Channi : পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ চরণজিতের
এদিন যে 15 জন মন্ত্রী শপথ নেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভ্রম মহিন্দ্রা (Brahm Mohindra) ৷ হিন্দু সম্প্রদায়ের এই প্রতিনিধি দলের বিশিষ্ট প্রবীণ নেতা ৷ এমনকী, সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh) থেকেও তিনি বয়সে বড় ৷ ক্যাপ্টেনের মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন তিনি ৷ এছাড়া, এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আনকোরা ছ’টি মুখও সকলের নজর কাড়ে ৷ এঁরা হলেন রণদীপ সিং নভ, রাজকুমার ভার্কা, সঙ্গত সিং গিলজিয়ান, পরগত সিং, অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং এবং গুকরিরত সিং কোটলি ৷
এঁদের মধ্যে গুকরিরত সিং কোটলি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের নাতি ৷ তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল বিরোধী শিরোমণি অকালি দল এবং আম আদমি পার্টি ৷ 1994 সালে এক ফরাসী নাগরিকের অপহরণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ যদিও এর পাঁচ বছর পর 1999 সালে সমস্ত অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস হয়ে যান কোটলি ৷
অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য রানা গুরজিৎ সিং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন ৷ কিন্তু 2018 সালে একটি পারিবারিক বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ যার জেরে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় তাঁকে ৷ কিন্তু, নয়া মন্ত্রিসভায় ফের জায়গা দেওয়া হয়েছে তাঁকে ৷ পঞ্জাবের সবথেকে ধনী বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম হলেন এই রানা গুরজিৎ সিং ৷
আরও পড়ুন : Amarinder Singh : ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের অধিনায়কত্বেই পঞ্জাবে সুদিন ফিরেছিল কংগ্রেসের
রানা গুরজিৎ সিংয়ের মন্ত্রিত্বে ফেরা নিয়ে ইতিমধ্যেই অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, শপথ গ্রহণের আগেই নয়া মন্ত্রিসভার প্রস্তাবনা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার দাবি ওঠে ৷ এমনকী, এই দাবি জানিয়ে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুকে (Navjot Singh Sidhu) চিঠিও লেখেন ছ’জন বিধায়ক ৷ বিতর্কিত রানা গুরজিৎ সিংয়ের বদলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনও দলিত বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া আবেদন জানানো হয় চিঠিতে ৷ যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি ৷