সাতারা(মহারাষ্ট্র), 8 জুলাই: মহারাষ্ট্রে কয়লা কারখানায় কর্মরত এক আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনায় 11 জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ কয়লা কারখানার মালিক তথা মূল সন্দেহভাজন বালু শেখকে পুলিশ আটক করেছে ৷ অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, মহিলা ও তাঁর স্বামী ফালটনে একটি কয়লা কারখানায় কাজ করেন ৷ সেখানেই ওই মহিলার স্বামীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয় ৷ এরপর 11 জন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । কোনওমতে তাদের হাত থেকে বেঁচে স্বামী-স্ত্রী তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে পন্ধরপুরে পৌঁছন । তারপর নিজের গ্রামে ফিরে তাঁরা ঘটনাটি শ্রমিক সংগঠনে জানান ৷ এরপরেই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ।
আরও পড়ুন: অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগ
শ্রমিক সংগঠনের নেতা ওই নির্যাতিতা মহিলাকে নিয়ে রায়গড় জেলার মান্ডভি থানার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে ৷ এমনকী জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সম্পর্কে সাতারা থানায় জানানো হয়েছে ৷ এরপর ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি নিতে সাতারায় নিয়ে যায় সেখানকার পুলিশ ।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে কয়লা কারখানার মালিক বালু শেখকে আটক করেছে । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাতরা এলাকায় ৷ মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ৷ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন তাঁর গ্রামের বাসিন্দারা ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে মহিলা চা শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা ৷ অভিযোগ ছিল, নির্যাতিতা শৌচকর্ম করতে চা বাগানে গিয়েছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এক যুবক ৷ ঘটনাস্থলে অন্যান্য চা শ্রমিকরা এসে পড়ায় অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান ৷