ETV Bharat / bharat

তিন দশক পর নকশাল অধ্য়ুষিত মিনপা গ্রামে রাস্তা তৈরিতে নিয়োগ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী - সুকমা জেলা

দীর্ঘ তিন দশক আশপাশের গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল ছত্তিশগড়ের মিনপা গ্রাম ৷ কিন্তু এবার ছন্দে ফিরবে গ্রামবাসীদের জীবন ৷ গ্রামে নির্বিঘ্নে রাস্তা তৈরির জন্য নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ আর রাস্তা হলে উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের আধিকারিক থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা ৷

মিনপা গ্রাম
মিনপা গ্রাম
author img

By

Published : Jul 14, 2021, 11:06 PM IST

সুকমা, 14 জুলাই : সাধারণ জনজীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন তিন দশক ধরে, নকশাল অধ্যুষিত সুকমা জেলার মিনপা গ্রাম ৷ তবে এবার সুখবর, খুব শিগগিরি স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ ফিরে পাবে ছত্তিশগড়ের এই প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা ৷

2020-র 21 মার্চ মিনপা গ্রামে নকশাল হামলায় 17 জন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডস (District Reserve Guards, DRG) মারা যান, 14 জন আহত হয়েছিলেন ৷ তার পর থেকে সব কিছু থমকে গিয়েছিল গ্রামে ৷ এবার ওই অঞ্চলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই গ্রামে ৷ মিনপায় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ক্যাম্প তৈরি করেছে ৷ এর আগে 2013-য় তারা ক্যাম্প তৈরির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নকশাল হামলায় দু'জন মারা যাওয়ায়, সেবার পিছিয়ে আসতে হয় ৷

আরও পড়ুন : স্ট্য়ান স্বামীর মেডিক্য়াল রিপোর্ট আদালতে পেশ করল মহারাষ্ট্র সরকার

মিনপার কাছে বিদ্যুতের তার বসানো হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণের কাজও চলছে ৷ ডিআরজি-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force), বিশেষ পুলিশ ইউনিট কোবরা (CoBRA) আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী (CRPF) থেকে 1 হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে নকশালরা এই অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কাজে কোনও বাধা না দিতে পারে ৷

বস্তারের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পি সুন্দররাজ বলেন, "30 বছর আগে মিনপা গ্রামটা রাজ্যের জাতীয় সড়কের উপরে ছিল, তাই এটা কৌশলগত ভাবে আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ নকশালদের অধীনে থাকায় এখানকার রাস্তা আর অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ ছিল ৷"

তিনি জানান নকশালরা সাধারণত আইইডি (IED) বোম রেখে দেয় আর রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে তাকে আক্রমণ করে ৷ তবু, এখনও আমরা এখানকার উন্নয়ন আর জনকল্যাণমূলক কাজ করার জন্য দায়বদ্ধ ৷

এক গ্রামবাসী কুঞ্জাম বলেন, "2005-এ, আমাদের রাস্তা আর বিদ্যুৎ ছিল ৷ আমাদের কাছে মোটে দুটো হ্য়ান্ডপাম্প রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে না ৷ এখানে কোনও স্কুল নেই ৷ এখান থেকে 45 কিমি দূরে দোরনাপালে (Dornapal) চলে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা ৷" এমনকি কেউ অসুস্থ হলে তাকে একটা খাটে (cot) করে বুরকাপাল (Burkapal) বা চিন্তাগুফায় (Chintagupha) নিয়ে যাওয়া হয় পায়ে হেঁটে, কারণ রাস্তার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স এখানে আসতে পারে না ৷ "আমরা রাস্তা পেলে, ইলেকট্রিসিটি আর অন্যান্য প্রাথমিক সুবিধাগুলি পেলে, আমাদের জীবন আরও সুখের হবে", তিনি জানালেন ৷

সুকমা, 14 জুলাই : সাধারণ জনজীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন তিন দশক ধরে, নকশাল অধ্যুষিত সুকমা জেলার মিনপা গ্রাম ৷ তবে এবার সুখবর, খুব শিগগিরি স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ ফিরে পাবে ছত্তিশগড়ের এই প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা ৷

2020-র 21 মার্চ মিনপা গ্রামে নকশাল হামলায় 17 জন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডস (District Reserve Guards, DRG) মারা যান, 14 জন আহত হয়েছিলেন ৷ তার পর থেকে সব কিছু থমকে গিয়েছিল গ্রামে ৷ এবার ওই অঞ্চলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই গ্রামে ৷ মিনপায় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ক্যাম্প তৈরি করেছে ৷ এর আগে 2013-য় তারা ক্যাম্প তৈরির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নকশাল হামলায় দু'জন মারা যাওয়ায়, সেবার পিছিয়ে আসতে হয় ৷

আরও পড়ুন : স্ট্য়ান স্বামীর মেডিক্য়াল রিপোর্ট আদালতে পেশ করল মহারাষ্ট্র সরকার

মিনপার কাছে বিদ্যুতের তার বসানো হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণের কাজও চলছে ৷ ডিআরজি-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force), বিশেষ পুলিশ ইউনিট কোবরা (CoBRA) আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী (CRPF) থেকে 1 হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে নকশালরা এই অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কাজে কোনও বাধা না দিতে পারে ৷

বস্তারের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পি সুন্দররাজ বলেন, "30 বছর আগে মিনপা গ্রামটা রাজ্যের জাতীয় সড়কের উপরে ছিল, তাই এটা কৌশলগত ভাবে আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ নকশালদের অধীনে থাকায় এখানকার রাস্তা আর অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ ছিল ৷"

তিনি জানান নকশালরা সাধারণত আইইডি (IED) বোম রেখে দেয় আর রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে তাকে আক্রমণ করে ৷ তবু, এখনও আমরা এখানকার উন্নয়ন আর জনকল্যাণমূলক কাজ করার জন্য দায়বদ্ধ ৷

এক গ্রামবাসী কুঞ্জাম বলেন, "2005-এ, আমাদের রাস্তা আর বিদ্যুৎ ছিল ৷ আমাদের কাছে মোটে দুটো হ্য়ান্ডপাম্প রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে না ৷ এখানে কোনও স্কুল নেই ৷ এখান থেকে 45 কিমি দূরে দোরনাপালে (Dornapal) চলে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা ৷" এমনকি কেউ অসুস্থ হলে তাকে একটা খাটে (cot) করে বুরকাপাল (Burkapal) বা চিন্তাগুফায় (Chintagupha) নিয়ে যাওয়া হয় পায়ে হেঁটে, কারণ রাস্তার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স এখানে আসতে পারে না ৷ "আমরা রাস্তা পেলে, ইলেকট্রিসিটি আর অন্যান্য প্রাথমিক সুবিধাগুলি পেলে, আমাদের জীবন আরও সুখের হবে", তিনি জানালেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.