শিবকাশী, 21 অক্টোবর: দীপাবলির (Diwali 2022) মুখে বেকার হয়ে পড়লেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) শিবাকাশী গ্রামের প্রায় 1.5 লক্ষ কর্মী (Firecracker Workers Jobless)৷ বিভিন্ন রাজ্যে আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন আতশবাজি তৈরির ব্যবসায় নিযুক্ত এই কর্মীরা ৷ এ কথা জানিয়েছেন আধিকারিকরা (Ban on firecrackers)৷
কোভিড-19-এর কারণে দুই বছরের খারাপ ব্যবসার পর আতশবাজি প্রস্তুতকারীরা এই দীপাবলিতে একটু লাভের মুখ দেখার আশায় ছিলেন ৷ তবে আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা মুষড়ে পড়েছেন ৷ বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাঁদের । মহিলারা-সহ সাত লাখেরও বেশি মানুষ আতশবাজি শিল্পে নিযুক্ত এবং বর্তমানে 1,000 টিরও বেশি নিবন্ধিত আতশবাজি শাখা সক্রিয় ভাবে কাজ করে ।
শিবকাশীর 6.5 লক্ষেরও বেশি পরিবার তাদের আয়ের জন্য শুধুমাত্র আতশবাজি শিল্পের উপর নির্ভরশীল । সম্প্রতি বেরিয়ামেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হওয়ায় 1.5 লক্ষেরও বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন ৷ এক কর্মী বললেন, "মালা বাজি একটি উল্লেখযোগ্য আইটেম ছিল ৷ সেটিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ অথচ এই বাজিগুলি সম্পূর্ণরূপে হাতে তৈরি ৷ আমরা এই বাজি তৈরি করতে পারব না ৷ তাই সবাই ছাঁটাই হয়ে গেল । প্রায় 40% উত্পাদন কর্মী এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন ।"
আরও পড়ুন: 'কাঁচামালের চড়া দাম ও সরকারি নীতির কারণে' সংকটে বুড়িমার বাজির বাজার
শিবকাশী অঞ্চলের একমাত্র শিল্প হল আতশবাজি শিল্প । এখানে বসবাসকারী 5 লাখ মানুষ তাঁদের আয়ের জন্য শুধুমাত্র আতশবাজি শিল্পের উপর নির্ভর করে । এখানকার যা পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে কৃষি নয়, শুধুমাত্র আতশবাজি শিল্পই সেখানে চলনসই ৷ বহু বছর ধরে, কিছু বিস্ফোরক তৈরি করা এবং নির্দিষ্ট রাসায়নিকের ব্যবহারে বিধিনিষেধ আতশবাজি ব্যবসাকে জর্জরিত করেছে । একজন কর্মকর্তা বললেন, "আবহাওয়ার কারণে এখনই আতশবাজি তৈরি করা যাচ্ছে না । অনেক রাজ্য দীপাবলির সময় বাজি বিক্রি এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ৷ এর ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ছেন ৷ সেই কারণে আতশবাজির কর্মীদের তরফে আমি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তিনি যেন এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন এবং আতশবাজি কর্মীদের সমস্যার কথা তাঁর সামনে তুলে ধরেন ৷"