হায়দরাবাদ:লাইট-পাখা বন্ধ করে সব সময় ঘর থেকে বেরন ৷ যদিও তাতে খুব একটা ফারাক হয় না মাসের শেষের বিদ্যুতের বিলে ৷ অপ্রয়োজনীয় কারণে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বন্ধ থেকে শুরু করে এসি কম চালানো কোনও কিছুই বাদ যায়নি ৷ তারপরেও মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল জমা করতে গিয়ে সংসার খরচ বেড়ে যায় ৷ জানেন কি কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করলে অত্যধিক বিদ্যুতের বিলের চাপ কমে যায় ৷ এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলোকে দেখে নেওয়া সেগুলি বিএসআই মার্ক কি না ৷
বাল্বের ব্যবহার: সাধারণ বাল্বে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। এর কারণে বিদ্যুৎ বিলও বেশি। সাশ্রয়ের জন্য় বাড়িতে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করতে পারেন ৷ তার ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। বিলও কমে যাবে। তাছাড়া এই ধরনের এলইডি বাল্ব দীর্ঘদিন চলে ৷
অপ্রয়োজনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা: অনেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি ব্যবহারের পরে সেগুলি আনপ্লাগ করে না। সুইচ বন্ধ করে দেন ৷ জানেন কি যন্ত্রাংশটিআনপ্লাগ না করলে, তবে এটির মধ্য দিয়ে বিদ্যুত প্রবাহিত হতে থাকে। সেজন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন চার্জার, টিভি, কম্পিউটার, ওয়াই-ফাই রাউটার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি ব্যবহারের পরপর প্লাগ খুলে রাখাই ভালো। এতে বিল কম আসে ৷
এসি রক্ষণাবেক্ষণ: এয়ার কন্ডিশন ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। নিয়মিত এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার ৷ বছরে একবার হলেও মেকানিক দিয়ে এয়ার কন্ডিশনটি মেনটেনেন্স করা ভালো ৷ এসি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করলে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একেবারে প্রয়োজন হলেই তবেই এসি ব্যবহার করা ভালো।
পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার: টিভি, কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক জিনিসগুলি পাওয়ার স্ট্রিপে প্লাগ করা উচিত। এছাড়াও এই ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ ব্যবহার না-হলেও সুইচ বন্ধ করে দেওয়া দরকার ৷ কম্পিউটার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন। অন্যথায় সেটি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ হয় ৷ এতে বিলও বাড়বে।