কলকাতা, 24 জুলাই: বাড়ির হেঁসেল শুধু নয়, এবার সঙ্কটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের 'চপ শিল্প' । লাগামছাড়া আলুর দাম বৃদ্ধিতে অনেক তেলেভাজার দোকানে আলুর চপ, সিঙাড়া বিক্রি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন বিক্রেতারা । আর যাঁরা বিক্রি করছেন, চপ, সিঙাড়ার দাম বাড়াতে না-পেরে তাঁদের হাঁসফাঁস করা অবস্থা ৷ আলুর দাম যেন আলোর গতিবেগেই বাড়ছিল । তার উপর আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে হিমঘর থেকে আলু বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায় । তার জেরে খুচরো বাজারে আলু প্রায় অমিল হয়ে ওঠে ।
আলুর দামে কতটা প্রভাব চপ শিল্পে (ইটিভি ভারত) বিক্রেতারা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেছে । পরিস্থিতির সুযোগ নিতে শহর কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বেশকিছু খুচরো ব্যবসায়ী কেউ 38 টাকা বা কেউ 40 টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে থাকেন । আর সেই বাড়তি দামে আলু কেনায় যেমন জেরবার আমজনতার হেঁসেল, তেমনই জেরবার তেলেভাজার বিক্রেতারা ।
কারও দোকানে 6 টাকা, আবার কারও দোকানে 7 টাকা করে আলুর চপ । সিঙাড়ার দাম 6-7 টাকা । তবে খুচরো বাজারে আলু কিনতে হচ্ছে 35-40 টাকা কেজি করে । কাঁচামালের দাম বেড়েছে কিন্তু তৈরি চপ বা সিঙাড়ার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলেই কমবে ক্রেতার সংখ্যা ৷ তাই দামও বাড়াতে পারছেন না তেলেভাজা বিক্রেতারা ৷ ফলে লাভের পরিমাণ কমছে । আর তাতেই হাঁসফাঁস করছেন তেলেভাজা বিক্রেতারা ।
আলুর দাম বৃদ্ধির প্রভাব কি এবার 'চপ শিল্পে' ? (নিজস্ব চিত্র) বউবাজারের এক তেলেভাজা বিক্রেতার কথায়, "তেলের দাম আছে, মশলা আছে, আলু 20-22 টাকা করে কিনেও 6 টাকা আলুর চপ, সিঙাড়া বিক্রি করেছি । এখন 35-40 টাকা করে আলু কিনেও সেই দামে বিক্রি করছি । শুধু দোকানের ক্রেতা ধরে রাখতে । কোনও ভাবেই লাভ করতে পারছি না । দাম বাড়ালে লোকে কিনবে না । গুণগত মান কমালে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে । ফলে অসহায় অবস্থা ।"