কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর:বিগত কয়েক বছরের ধারা বলছে, দেবিপক্ষ শুরুর আগে থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মণ্ডপে গিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু হচ্ছে পয়লা অক্টোবর থেকে। হিসাব মতো তখনও দেবীপক্ষের সূচনা হচ্ছে না। অর্থাৎ, পিতৃপক্ষ থেকেই এবছরও দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরই সশরীরে এবং ভার্চুয়াল মিলে প্রায় এক হাজারের বেশি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার পুজোগুলির ক্ষেত্রে সশরীরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকলেও জেলার পুজোগুলিতে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। অক্টোবরের পয়লা তারিখে সুজিত বসুর পুজো দিয়ে এবার দুর্গা পুজোর উদ্বোধনী 'কার্যক্রম' শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে 4টে নাগাদ শ্রীভূমির পুজোমণ্ডপে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে পাশে নিয়ে শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করার পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের তিনটি দমকলকেন্দ্রের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। একটি দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন হবে বীরভূমের দুবরাজপুরে ৷ অন্য দু’টি হবে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায়।
অক্টোবরের 2 তারিখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার প্রায় এক হাজারের বেশি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, ওই দিন দলের উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। ওইদিনই মুখ্যমন্ত্রীর পুজো অ্যালবাম আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা। এছাড়া, ওই দিন চেতলা অগ্রণী ক্লাব তথা ফিরহাদ হাকিমের পুজোর উদ্বোধন তথা দেবী মূর্তির চক্ষুদান করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ওই দিনই বিকেল পাঁচটায় অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর দিন মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করবেন, তার একটা তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এক মাস আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধনের অনুরোধ আসছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৷ সেগুলিকেই একত্রিত করে ওই দিন পুজো উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, গত বছরও শহর এবং জেলা মিলে প্রায় এক হাজারের বেশি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না ৷ অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে ।