কলকাতা, 22 অগস্ট: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন। সেই অভিযান আটকাতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। পুলিশের কোনও অনুমতি না নিয়েই এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি এই অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারে মনে করা হচ্ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
তিনি অবিলম্বে এই অভিযান বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবিতেই এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে রাজ্যের আশঙ্কা প্রকাশ করেন অ্য়াডভোকেট জেনারেল। ডিভিশন বেঞ্চ আগামিকাল শুক্রবার মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে।
হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সোশাল মিডিয়ায় একটি সংগঠন আগামী রবিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। ওই কর্মসূচিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল শামিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের কর্মসূচি কীভাবে করা যেতে পারে ? ওই সংগঠন নবান্ন অভিযানের পোস্টার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান অ্য়াডভোকেট জেনারেল।
উল্লেখ্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে রাজ্যে যখন তখন মিছিল সমাবেশ না করা হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ আটকানো যাবে না।
এদিনই সুপ্রিম-শুনানিতে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করে। 5 সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিবিআইকে ফের তাদের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করতে হবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে যেখানে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সমস্ত অভিযোগ বা পরমর্শ খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত টাস্কফোর্স।