চন্দ্রকোনা, 7 অগস্ট: গত সাত বছর আগে তৈরি হয়েছিল চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের পুড়শুড়া আইসিডিএস সেন্টার ৷ অভিযোগ এই সাত বছরেই বসে যাওয়া মেঝে ও ফাটা দেওয়ার থেকে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসে বিছে ও সাপ ৷ তার জেরে গত 2 বছর ধরে পঠনপাঠন পুরোপুরি বন্ধ ৷ তবে, আইসিডিএস বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে এখনও মিড-ডে মিলের খাবার বিতরণ হয় 80 জন পড়ুয়া এবং গর্ভবতীদের জন্য ৷ এবার সেই অঙ্গনওয়াড়ির রান্নাঘরে পাওয়া গেল বিষধর সাপ ৷ শিক্ষিকার তৎপরতায় সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ির রাঁধুনি ৷
চন্দ্রকোনার আইসিডিএস সেন্টারে উদ্ধার বিষধর সাপ ৷ (ইটিভি ভারত) চন্দ্রকোনার মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের 165 নম্বর রাধাসাগর পুড়শুড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বাইরে থেকে দেখলে ঝাঁ-চকচকে মনে হবে ৷ কিন্তু, ভিতরে ঢুকলে দেখা যাবে ক্লাসরুম, স্টোররুম ও রান্নাঘরের বেহাল দশা ৷ দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে ৷ মেঝে ফেটে গিয়ে বসে গিয়েছে ৷ অভিযোগ সেখান দিয়ে মাঝে মধ্যেই সাপ ও বিছে বেরিয়ে আসে ৷ এই ভয়ে দু’বছর আগেই পড়াশোনা বন্ধ হয়েছে ৷ বাচ্চারা কেবল স্কুলে এসে মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে চলে যায় ৷ মোট 80 জন পড়ুয়া রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আওতায় ৷
এর বাইরেও অনেক সমস্যা রয়েছে ৷ অভিযোগ স্কুলের কোনও নিজস্ব পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই ৷ স্কুলের রাঁধুনি কাকলি ঘোষ অভিযোগ করেছেন, শুরুর দিন থেকে স্কুলের নিজস্ব কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই ৷ আগে একটি টিউবওয়েল ছিল ৷ সেটি ভেঙে গিয়েছে ৷ তারপর সাবমারসিবল বসানো হলেও, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায়, তা চালু হয়নি ৷ ফলে গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে জল বয়ে নিয়ে আসতে হয় তাঁদের ৷ সেখানেও ঝুঁকি রয়েছে ৷ বেহাল কাদা-মাটির রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বালতি করে জল বয়ে নিয়ে আসতে হয় রান্নার জন্য ৷
এ নিয়ে বিডিও, সিডিপিও, পঞ্চায়েত সর্বত্র অভিযোগ জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী থেকে গ্রামবাসী সকলেই ৷ কিন্তু, বিগত 2 বছরে কোনও সুরাহা হয়নি ৷ স্কুলের এই বেহাল অবস্থার কথা মানছেন মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর দাবি, প্রশাসনিক স্তরে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ দ্রুত স্কুল মেরামতি করে পঠনপাঠন শুরু হবে ৷ কিন্তু, পানীয় জলের ব্যবস্থা ? পড়াশোনা শুরু হলে, পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে ৷ তখন পানীয় জলের চাহিদা বাড়বে ৷ সেই সমস্যাও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু, কবে তা হয়, সেটাই এখন দেখার ৷