কলকাতা, 1 অগস্ট: বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বলতম ক্ষেত্রে হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বাংলা। বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজ্যে এক সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ভরা ভাষণের যখন অভিযোগ ওঠে, সেখানেই ফের সম্প্রীতির নজির গড়ল রাজ্যের বিধানসভা ৷
রাজ্যে হিন্দু ধর্মের সতীপীঠের উন্নয়নের দাবি জানালেন মুসলিম বিধায়ক । আবার হিন্দু বিধায়ক দাবি করলেন হিজলি শরীফের মতো মুসলিম ধর্মক্ষেত্রে আরও পর্যটনের বিকাশের। আর তার জেরেই বৃহস্পতিবার ফের একবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জ্বলন্ত উদাহরণ সামনে এল রাজ্য বিধানসভায় ৷ এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাছে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত 'অট্টহাস' সতীপিঠে পর্যটকদের জন্য পরিষেবা বাড়ানোর দাবি করেন ।
এর কিছুক্ষণ বাদেই বিজেপির খেজুরির বিধানসভার বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, হিজলি শরিফে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের নিত্য যাতায়াতের ফলে সেখানে পৃথক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বিবেচনার আর্জি জানান । এই বিষয়টিকেই রাজ্যে থাকা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের অনন্য উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন পর্যটন মন্ত্রী। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এদিনের অধিবেশনে বলেন, "হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষা করার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে বাংলা। এ রাজ্যের সরকারও পারস্পরিক মেল বন্ধনে সচেষ্ট ।" উভয় বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এধরনের দাবি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যে বিশেষ উদাহরণ হতে পারে বলেও মনে করছেন মন্ত্রী।
পরে অবশ্য ইন্দ্রনীল সেন আরও বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় সব, ধর্ম সব, সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে চলার কথা বলেন। এটাই মমতার বাংলা। তাঁর মুখে বারবার শোনা যায়, ধর্ম যার যার নিজের, উৎসব সবার। ধর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক মানসিকতা রাজ্যের মানুষের মধ্যেও রয়েছে। বিধায়ক তো জনতার প্রতিনিধি সামগ্রিকভাবে এ ধরনের দাবি এরাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিবেশ রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণ করছে ৷"