জলপাইগুড়ি, 28 এপ্রিল: তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে! তাপপ্রবাহের সতর্কতাও শোনা যাচ্ছে নিত্য দিন ! বৈশাখে প্রাণ ওষ্ঠাগত সমতলে ৷ এমনকী উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি-সহ বেশ কিছু জেলাতেও একই অবস্থা ৷ এর সঙ্গে ভোটের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে ৷ দু'দফার ভোট সবে মিটেছে ৷ এখনও পাঁচ দফা বাকি ৷ এমনই আবহে ভিড় বাড়ছে শৈলশহর দার্জিলিংয়ে ৷ প্রাণ বাঁচাতে বা বলা ভালো ঠান্ডার স্পর্শ পেতে দার্জিলিংয়ে ছুটছেন পর্যটকরা ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই দেশের নানা জায়গার মানুষ গরম থেকে রেহাই পেতে আশ্রয় নিচ্ছেন শৈলশহরে ৷ দার্জিলিং যেন তাঁদের কাছে চলমান এসি ৷
এখন পাহাড়ের কোলে থাকা এই শহরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে 15 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ আর রাতের দিকে তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে 10 ডিগ্রিতে। কপাল ভালো থাকলে বেশি রাতে 7 ডিগ্রি সেলসিয়াসে সুখনিদ্রার সুযোগও মিলতে পারে ৷ এমনিতে দার্জিলিং পর্যটকদের প্রিয় পর্যটনস্থল ৷ আর গরম পড়লে তার কদর আরও বেড়ে যায় ৷ সাধারণত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে পর্যটনের মরশুম শুরু হয় ৷ এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ গত সপ্তাহ থেকে ভিড় বাড়ছে ৷ কারণ সদ্য সমতলের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়েতে শুরু করেছে ৷ তাই কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন বাবা-মায়েরা ৷
অন্যদিকে, এই সময় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি বা তার বেশি হয়েছে ৷ আর এই সময় সমতল যখন পুড়ছে, তখন দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা মাত্র 15 ৷ মল চত্বরে বইছে সুশীতল ঠান্ডা হাওয়া ৷ স্বভাবতই শৈলরানিতে ছুটছেন পর্যটকরা ৷ সেখানে আবার গরম জামাকাপড় পরতে হচ্ছে তাঁদের ৷ কেউ যদি ভুল করে ভাবেন যে, সমতলে গরমে হাফ হাতা টি-শার্ট যথেষ্ট ৷ তাই দার্জিলিংয়েও তেমন কিছু লাগবে না ৷ তাহলে কিন্তু বড় ভুল হবে ৷ যেমনটা করেছেন সুনীতা তিওয়ারি ও তাঁর পরিবার ৷ তাই দার্জিলিংয়ে গিয়ে মল থেকে গরম জামাকাপড় কিনতে বাধ্য হয়েছেন ৷ কারণ, তাঁরা কলকাতা থেকে যাওয়ার সময় সোয়েটার, চাদর এসব কিছুই নিয়ে যাননি ৷