কলকাতা, 24 নভেম্বর: দক্ষিণ ভারতের হাসপাতালে হল না চিকিৎসা। সেই জটিল অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন কলকাতার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মৃত্যুর মুখ থেকে প্রৌঢ়কে ফিরিয়ে এনে তাঁকে নতুন করে জীবনদান করলেন কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়ের ফুসফুসে আটকে গিয়েছিল দুটো দাঁত। সেই দাঁত ব্রঙ্কোস্কোপির মাধ্যমে বার করা হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ সেই প্রৌঢ়। নীলরতন সরকার ও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি।
বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়। তাঁর ছেলে শেখ সায়ন্ত বলেন, "2019 সালে আমার বাবার দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। সেটা ফুসফুসে গিয়ে আটকে যায়। তারপর আমরা নানুর হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে কিছু হয়নি। আমরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানেও কিছু না হওয়ায় বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে। তবে সেখানেও কিছু না হওয়ায় বাবাকে অন্য জায়গায় রেফার করে দেওয়া হয় ।"
প্রৌঢ়ের ছেলে জানান, খরচের হিসাব করে ওখান থেকে তাঁরা সোজা চলে আসেন কলকাতায়। তারপর প্রৌঢ়কে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে দেখানো হয় তাঁকে। সেখানে এক্সরে করে দেখা যায়, প্রৌঢ়ের ফুসফুসে দাঁত আটকে রয়েছেন।
চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক জয়দীপ দেব বলেন, "ওনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ওনাকে নিয়ে আসার পর আমরা দেখতে পাই, ফুসফুসে দুটি দাঁত আটকে রয়েছে। ব্রঙ্কোস্কোপির মাধ্যমে সেই দাঁত দুটিকে বার করে দেওয়া হয়েছে।" হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন ওই প্রৌঢ়।