কলকাতা, 3 অক্টোবর: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ জানতে পারেন আরজি কর হাসপাতালে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে সেই ঘটনায় আশিস পাণ্ডের যোগ রয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । এর আগে আজ সিবিআই দফতরে ডেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আশিসকে।
সূত্রের খবর, এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে একেবারেই সহযোগিতা করছিলেন না আশিস। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আরজি কর হাসপাতালে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি ও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। সেখানে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার হয়। সেই কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ধৃত তৃণমূলের যুবনেতা আশিস পাণ্ডের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই তাঁকে আজ সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কে এই আশিস পাণ্ডে?
- মূলত সিবিআইয়ের অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং কাছের মানুষ এই আশিস পাণ্ডে।
- তৃণমূলের এই নেতা আরজি করের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতিও বটে ৷
- আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত নেমে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে, আশিস হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের রীতিমতো হুমকি দিতেন।
- গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে যখন তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই সময়ে সেমিনার হলে অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্স বা অকুস্থলে দেখা গিয়েছিল আশিসকে।
- এর পাশাপাশি, আরজি কর হাসপাতালে যে সকল ক্যাফে কিংবা দোকান রয়েছে সেইগুলিও বকলমে এই আশিস পাণ্ডেই দেখাশোনা করতেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ সকাল থেকেই আশিস পাণ্ডেকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তদন্ত একেবারেই সহযোগিতা না-করার ফলে তাঁকে অবশেষে গ্রেফতার করল সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সন্দীপ-সহ এখনও পর্যন্ত এই মামলায় গ্রেফতার হলেন পাঁচ জন। উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে অভিযোগ উঠেছে, 3 বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি চলেছে। তার তদন্তের জন্য গত 16 অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছিল।